দীর্ঘ সময় ধরে চলা রাশিয়ার সামরিক অভিযানে অনেকটা বেহাল অবস্থা ইউক্রেনের। রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির বিভিন্ন জরুরি সেবার অবকাঠামো।
বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এমন সব সংকট কাটিয়ে উঠতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে পূর্ব ইউরোপের এ দেশটি।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, চলতি সপ্তাহে ব্যাপক রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার ৫০ শতাংশ বর্তমানে পূরণ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। এতে করে অনেকটা কাবু হয়ে পড়ছে দেশটি। হামলার পর সৃষ্ট পানি ও বিদ্যুৎ সংকট থেকে মুক্তি পেতে ইউক্রেন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাজধানী কিয়েভসহ ১৫টি অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিয়ে ‘সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি’ দেখা দিয়েছে।
ইউক্রেনে এখন শীত মৌসুম শুরু হচ্ছে। তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নামাসহ দেশজুড়ে তুষারপাত চলবে। এতে করে হাইপোথার্মিয়ায় দেশে মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে, কিয়েভের প্রায় ৭০ শতাংশ বাসিন্দাই বিদ্যুৎ ছাড়া ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বিবিসি ইউক্রেনীয়কে বলেছেন, রুশ হামলার জেরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির’ শিকার হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। হয়তবা ইউক্রেনের রাজধানীকে বিদ্যুৎ, তাপ এবং পানি ছাড়াই থাকতে হবে।
কিন্তু পরে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধীরে ধীরে দেশের সব অঞ্চলে বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হচ্ছে।