logo
আপডেট : 29 November, 2022 22:48
চীনে কোভিডবিধির বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে পুলিশি দমন
মেইল রিপোর্ট

চীনে কোভিডবিধির বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে পুলিশি দমন

চীনে কোভিডবিধির বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দমাতে মাঠে নেমেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বেশ কয়েকটি শহরে বিশালসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গছে। ফলে কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভকারীদের জমায়েত ভেস্তে গেছে।  

বিভিন্ন শহরে লোকজনকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের ফোন তল্লাশি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্য দিয়েও দেশটিতে আন্দোলন চলছে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি শহরেও এই আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে।  

পশ্চিম চীনের উরুমকি শহরে গেল বৃহস্পতিবার একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে। বহুতল ভবনটি কোভিডবিধির আওতায় ছিল। ফলে ভবনটি থেকে বের হওয়া সহজ ছিল না। এর পর থেকেই দেশটিতে কোভিডবিধির বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।

অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির পর হাজারো মানুষ সড়কে নেমে আসে। তারা কোভিড লকডাউনের ইতি টানার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ থেকে অনেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পদত্যাগ দাবি করে।  

সোমবার বিক্ষোভকারীরা বেইজিংয়ে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিক্ষোভ করতে পারেনি। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা সমাবেশস্থল ঘিরে রাখে। সাংহাইয়ে যে পথে বিক্ষোভ হওয়ার কথা ছিল, সেই পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়। এদিন পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।  

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে বেইজিং ও সাংহাই শহরে পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। এই দিন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ টেলিগ্রামের বেশ কয়েকটি গ্রুপ এটিই নির্দেশ করছিল যে, বিক্ষোভকারীরা পুনরায় জড়ো হতে পারে।  

সোমবার রাতে চীনের দক্ষিণের একটি শহরে ছোট একটি সমাবেশ পণ্ড করে দেওয়া হয় এবং লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এমন একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বিবিসি এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেছে।  

হংকংয়েও চীনের এই বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন সৃষ্টি হয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী চীনের বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে।  

লন্ডন, প্যারিস, টোকিওর চীনা দূতাবাসের সামনে লোকজন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ জানাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভের পক্ষে সমর্থন সৃষ্টি হয়েছে।