মেইল ডেস্ক :
চলে গেলেন সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলে। ক্যানসারের লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হার মানলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২বছর। জীবনে বহু ম্যাচে হারতে হারতে শেষ মুহুর্তে গোল করে দলকে জিতিয়ে দেয়া পেলে এবার জিততে জিততেই হেরে গেলেন। চলে যাওয়ার আগে জীবনের শেষ বিশ্বকাপটা দেখে গেলেন।
ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে মৃত্যুর খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার মধ্যে যোগ হয়েছিল কোলন ক্যানসার। এই মরণব্যাধির সঙ্গে কয়েক বছর ধরে লড়াই করে অবশেষে হেরে গেলেন তিনি। সর্বশেষ তাকে গত ১ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার পুরো নাম এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো। পেলে বা কালো মানিক বলেও ডাকা হতো তাকে। ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিনাস গেরাইস প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন পেলে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে যোগ দেন সান্তোসে। উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত ছোট ক্লাবটিকে তিনি ফুটবলের সবচেয়ে বিখ্যাত নামগুলোর একটিতে পরিণত করেন। সান্তোসের জার্সিতে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে বহু সংখ্যক শিরোপা জেতেন পেলে। পাশাপাশি দুটি কোপা লিবার্তাদোরেস (দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বলা হয় যে প্রতিযোগিতাটিকে) ও দুটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ (ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার সেরা ক্লাবগুলো নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতা) উঁচিয়ে ধরেন।
জাতীয় দল ব্রাজিলের হয়ে পেলে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের শিরোপা জেতেন তিনবার। প্রথমবার মাত্র ১৭ বছর বয়সে, ১৯৫৮ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত আসরে। দ্বিতীয়বার তিনি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পান চার বছর পর চিলিতে। যদিও চোটের কারণে প্রতিযোগিতার বেশিরভাগ অংশে ছিলেন না তিনি। সবশেষ ১৯৭০ সালে মেক্সিকোতে তৃতীয়বার পরম আরাধ্য সোনালী ট্রফি ছুঁয়ে দেখেন। তার নেতৃত্ব দেওয়া সেলেসাওদের ওই দলটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দলগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হয়।
তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলের রাজার সুস্থতা কামনায় ব্রাজিলের রাস্তায় রাস্তায় ডিজিটাল পোস্টার প্রদর্শন করে হাজারো মানুষ। কিন্তু এবার আর ফিরলেন না ফুটবলের রাজা।