স্টাফ রিপোর্টার, নিউইয়র্ক:
বিশ্ব মিডিয়ার চোখ এখন নিউইয়র্কের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করার ঘটনায় ব্যপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার হলে পরিস্থিতি সহিংশতায় রূপ নিতে পারে। এজন্য নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরে কঠোর নিরাপত্ত ব্যবস্থা গ্রহন করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ-এনওয়াইপিডি। ট্রাম্পের বাসভবন ম্যানহাটনের ফিফথ এভিনিউ এবং ডাউনটাউনের ক্রিমিনাল কোর্ট ভবন ঘিরে রেখেছে কয়েকশ’ পুলিশ সদস্য। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আশেপাশের কয়েকটি সড়ক।
সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলস এর সাথে যৌন কেলেংকারির ঘটনা ধামাচাপা দিতে নির্বাচনের আগে তার মুখ বন্ধ করতে ঘুষ দেওয়ার মামলায় দোষি সাব্যাস্ত হয়েছে ট্রাম্প। গত সপ্তাহে গ্রান্ড জুরি সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করলে আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেফতার ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই তার সামনে। এ অবস্থায় ট্রাম্পের আইনজীবীরা জানান মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন তিনি।
গ্রেফতার হলে পরিস্থিতি খুব খারাপ হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সমর্থকরা সহিংশ হয়ে উঠতে পারে। সম্ভাব্য বিক্ষোভ এবং সহিশতা ঠেকাতে পুলিশ ম্যানহাটনে ট্রাম্পের বাসভবনের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী স্থাপন করেছে এবং সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। ম্যানহাটনের ক্রিমিনাল কোর্টের আশেপাশের সড়কগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ফ্লোরিডার পামবীচে “মার এ লাগো” বাসভবন থেকে নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন। মঙ্গলবার সকালে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে অবস্থিত ফৌজদারি আদালতে যাবেন আত্মসমর্পণ করতে।
আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণের পর প্রচলিত আইন অনুযায়ি ট্রাম্পকে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেফতার করা হতে পারে। আর যদি সেটা হয় তাহলে এটাই হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টের হাতে হাতকড়া পরানোর ঘটনা।