‘বাংলাদেশ পথ হারায়নি। মেট্রোরেল নির্মাণ করা হয়েছে সবাই যেন যাতায়াত করতে পারে, কর্মঘণ্টা বাঁচে। আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন বর্ধিত করছি’।
মেট্রোরেলে চড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের অনুভূতি প্রকাশে এসব কথা বলেন।
শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ২ টা ৩৪ মিনিটে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ করায় জাপান সরকার ধন্যবাদ। মেট্রোরেল নির্মাণে যারা জড়িত তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এরআগে ২ টা ৩৪ মিনিটে নিরাপত্তার জন্যে উদ্বোধনী ট্রেনটি মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে চলে যায়। এরপর ২টা ৪২ মিনিটে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে মেট্রোরেলে চড়েন প্রধানমন্ত্রী।
এ মেট্রোরেলটি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মাত্র ২১ মিনিটে পৌঁছায় মতিঝিল স্টেশনে। প্রধানমন্ত্রী যখন মতিঝিল স্টেশনে পৌঁছান তখন বাজে বিকাল ৩ টা ০৩ মিনিট।
এরপর তিনি বিকাল ৪ টায় মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
এর আগে ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হয়। সে সময় মেট্রো রেলের প্রথম অংশ উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দশ মাস পরে এসে আজ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশের উদ্বোধন করা হলো।
২০ কিলোমিটার দূরত্বের উত্তরা-মতিঝিল রুটে কর্মব্যস্ত দিনে লেগে যায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। যানজটের শহরে জাদুর মেট্রোরেল এ পথ অতিক্রম করবে মাত্র ৩১ মিনিটে।
আর আধুনিক এ গণপরিবহন আগামীকাল (৫ নভেম্বর) থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।