উত্তর কোরিয়া বলেছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে আরও সামরিক সরঞ্জাম ও সেনা মোতায়েন করবে। সামরিক কৃত্রিম গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জেরে দুদেশের সম্পর্কের অবনতি দেখা দিল।
এর আগে গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পর দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, ২০১৮ সালে হওয়া সামরিক চুক্তির অংশবিশেষ স্থগিত করেছে। পরে উত্তর কোরিয়া জানাল, তারা আর এ চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য থাকবে না।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রতিবেদনে বলছে, উত্তর কোরিয়া আর চুক্তিতে আবদ্ধ থাকবে না।
উত্তেজনা কমানোর পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপনের প্রচেষ্টা হিসেবে ২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং সাবেক কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে কম্প্রিহেনসিভ মিলিটারি এগ্রিমেন্টে (সিএমএ) সই করেন।
পিয়ংইয়ং যখন বলল তারা মালিগিয়ং-১ নামে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে, বুধবার সিওল এই চুক্তির অংশবিশেষ স্থগিত করে। গেল মে ও আগস্টে উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার সামরিক চুক্তির কারণে যেসব উদ্যোগ স্থগিত ছিল, সেগুলো উত্তর কোরিয়া পুনরায় চালু করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্থল, সমুদ্র ও আকাশসহ সব ক্ষেত্রে সামরিক উত্তেজনা ও সংঘাত প্রতিরোধে নেওয়া সামরিক পদক্ষেপ প্রত্যাহার করবে উত্তর কোরিয়া। পাশাপাশি সামরিক সীমারেখা বরাবর এ অঞ্চলে আরও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী এবং নতুন ধরনের সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করবে।
উত্তর কোরিয়া বলছে, দক্ষিণ কোরিয়াকে অবশ্যই তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং গুরুতর রাজনৈতিক ও সামরিক উসকানির জন্য মূল্য দিতে হবে, যা বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে ঠেলে দিয়েছে।