ক্যারিবীয় সাগরের মাঝে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন পিডো আইল্যান্ডে আমেরিকান ধনকুবের জেফ্রি এপস্টাইনের গোপন সাম্রাজ্য। প্রাইভেট জেটে পৃথিবী-বিখ্যাত অতিথিদের উড়িয়ে আনা হত এই দ্বীপে।
জেটের নাম ছিল ‘ললিতা এক্সপ্রেস’। নাবালিকা আর শিশুদের দিয়ে ওই প্রাসাদে যৌনচক্র চালাত এপস্টাইন।
জেফ্রি এপস্টাইন যৌন কেলেঙ্কারি মামলায় গত সপ্তাহে তিন দফায় হাজার পাতার বেশি নথি প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। ১৩০০ পাতার সেই নথিতে রয়েছে প্রায় ১৫০ জন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম। তারা সকলেই কোনও না কোনও সময়ে পিডো আইল্যান্ডের প্রাসাদে বা এপস্টাইনের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
রাজনীতিকদের মধ্যে দুই প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, বিল ক্লিন্টন ও হিলারি ক্লিন্টনের নামও ওই নথিতে ওঠে এসেছে। ললিতা এক্সপ্রেসে তারাও গিয়েছিলেন পিডো দ্বীপের প্রাসাদে। সেই তালিকায় আরও রয়েছেন হলিউড অভিনেতা লিয়োনার্দো দি ক্যাপ্রিও, আমেরিকান যাদুকর ডেভিড কপারফিল্ড, ব্রিটিশ মডেল নেওমি ক্যাম্পবেল, পরিচালক জর্জ লুকা, বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, অভিনেত্রী ক্যামেরন ডিয়াজসহ অনেকে।
নথি থেকে জানা যায়, ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের ভাই অ্যান্ড্রু সেখানে প্রায়ই যেতেন। কয়েক সপ্তাহ টানা থাকতেন। রাজকুমার অ্যান্ড্রু একসঙ্গে একাধিক নাবালিকার সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হতেন।
২০০৮ সালে এপস্টাইনের বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণ ও নিগ্রহের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। ২০১৯ সালের অগস্টে গ্রেফতারির মাস খানেকের মাথায় জেলেই আত্মহত্যা করে এপস্টাইন। তার বান্ধবী গিসলেন ম্যাক্সওয়েল শিশু ও নাবালিকাদের পাচারে যুক্ত থাকার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
এই ম্যাক্সওয়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেন নাবালিকা অবস্থায় পিডো আইল্যান্ডে নিগৃহীত হওয়া ভার্জিনিয়া জিওফ্রে নামে এক মহিলা। সেই মামলার নথিই প্রকাশ করেছে আদালত যেখানে এই খ্যাতনামাদের নাম ওঠে আসছে।