নতুন বছরের শুরুর দিনে জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৬১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পরও নিখোঁজ শতাধিক লোককে উদ্ধারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে রয়েছে ভূমিধস ও ভবন ভেঙে পড়ার সতর্কতা।
৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প দূরবর্তী নোটো উপদ্বীপে আঘাত হানে। এতে ভবন ভবন ধসের পাশাপাশি বড় ধরনের আগুনের ঘটনাও ঘটে।
নিহতের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে ওয়াজিমা ও সুজুতে। শহর দুটি ভূমিকম্পে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নিখোঁজ লোকের সংখ্যা ১৯৫ থেকে নেমে ১০০-এর একটু উপরে দাঁড়িয়েছে। শনিবার নিহতের সংখ্যা ১২০ থেকে বেড়ে যায়।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দুই হাজারের বেশি লোক বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানা গেছে। অনেকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছেন। যারা ঘরছাড়া, জাপানি সামরিক বাহিনী তাদের খাবার, পানি ও কম্বল সরবরাহ করছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে বলছে, তারা ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য চালাতে প্রায় ৬ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে। উদ্ধারের অবিশ্বাস্য গল্প সামনে আসছে। ৯০ কোঠায় থাকা এক নারীকে পাঁচদিন পর সুজু শহরের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত এক হাজার ২০০-এর বেশি ঝাঁকুনি রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে।
জাপান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ।