logo
আপডেট : 11 January, 2024 09:33
“কিং অফ রুপালী ব্যাংক” উপাধিতে ভূষিত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক
রূপালী ব্যাংকের রেকর্ড ৭০০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জনঃ শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর

রূপালী ব্যাংকের রেকর্ড ৭০০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জনঃ শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর

রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী সানাউল হক এবং এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন ৯৮ ব্যাচের কর্মকর্তারা

ঢাকা অফিস:

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রেকর্ড ৭০০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে রূপালী ব্যাংক। আর এজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যাংটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে “কিং অফ রুপালী ব্যাংক” উপাধি দিয়েছে। রেকর্ড পরিমান এই মুনাফা অর্জনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে।  
২০২২ সালে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল মাত্র ১০৬ কোটি।  ২০২৩ সালে ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে পরিচালন মুনাফায় ৫৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। খেলাপি ঋণ আদায়, ঋণ বিতরণ বৃদ্ধি ও লোকসানি শাখা কমিয়ে আনাসহ নানা উদ্যোগের সুফল পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক।  


নতুন হিসাব খোলার ক্ষেত্রেও রয়েছে ব্যাংকের আরও বড় সফলতা। যেখানে বিগত ৫১ বছরে মাত্র ২২ লাখ সক্রিয় অ্যাকাউন্ট রয়েছে, ব্যাংকটির সেখানে ২০২৩ সালে ৮ লাখেরও বেশি নতুন হিসাব খোলা হয়েছে। আস্থা ফেরায় ব্যাংকটিতে দীর্ঘদিন পর ফিরেছেন বড় করপোরেট ক্লায়েন্টরা। নতুন হিসাব খোলায় রেকর্ড করায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমেছে উচ্চ সুদের আমানতের পরিমাণ, বেড়েছে স্বল্প সুদ ও সুদবিহীন আমানত। যেখানে বছর জুড়ে বিভিন্ন ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগেছে, সেখানে রূপালী ব্যাংকের আমানত বেড়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার পরিমাণও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। লোকসানি শাখা কমে দাঁড়িয়েছে ৭-এ। এর আগে কখনো এত কম লোকসানি শাখা ব্যাংকটিতে ছিল না। প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনে উন্নতি হওয়ায় স্টেকহোল্ডাররা তার সুফল পেতে শুরু করেছে। খেলাপি ঋণ আদায়, আমানতের প্রবৃদ্ধি, ঋণ বিতরণ, নতুন হিসাব খোলা, লোকসানি শাখা কমানো, অটোমেটেড চালানসহ বিভিন্ন সূচকে উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে রূপালী ব্যাংকের। নগদ আদায়েও ব্যাংকটি ঈর্ষণীয় সফলতা দেখিয়েছে। ৫৫০ কোটি টাকা নগদ আদায়ে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ২২ থেকে নেমে এসেছে ১৬ শতাংশে।
সময়োপযোগী কিছু সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছে রূপালী ব্যাংকের আর্থিক চিত্র।  ১৯৮৬ সালে ব্যাংকটির শেয়ারের ৯১ শতাংশ সরকারি মালিকানায় রেখে বাকি অংশ বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে নিয়োগ ও নতুন ঋণ বিতরণের বিষয়ে ধীরগতির কারণে আর্থিক বিভিন্ন সূচকে ধারাবাহিকভাবে পিছিয়ে পড়তে থাকে ব্যাংকটি। ২০২২ সাল থেকে ব্যাংকটি ইউটার্ন নিতে শুরু করে।  

আশাতীত এই সাফল্য  প্রসঙ্গে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, মূলত সেবার মান বৃদ্ধি, খেলাপি ঋণ আদায়ে সর্বোচ্চ মনোযোগ, সিএমএসএমই ঋণ বিতরণে অগ্রাধিকার এবং লো কস্ট-নো কস্ট ডিপোজিট সংগ্রহে জোর উদ্যোগ নেওয়ার ফলে এই ফলাফল এসেছে। 
ব্যংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারিরা মনে করেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের অভিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে ঈর্ষণীয় এই সাফল্য এসেছে এবং এই সাফল্য অব্যাহত থাকবে।