উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ঐক্য আর সম্ভব নয়। ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করতে সংবিধানে পরিবর্তন হওয়া উচিত।
কিম বলেন, ঐক্য নিয়ে কাজ করা তিনটি সংগঠন বন্ধ করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএ এ খবর জানিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বলেছেন, তার দেশ উত্তরের যেকোনো উসকানিতে কয়েকগুণ শক্তিতে জবাব দেবে।
১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শেষ হলে কোরিয়া দুই দেশে বিভক্ত হয়। দেশ দুটি শান্তি চুক্তিতে সই করেনি। সেই থেকে দুই দেশই এক ধরনের বিরোধে জড়িয়ে আছে।
সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলিতে দেওয়া ভাষণে কিম বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যে প্রধান শত্রু, তা উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের জানাতে সংবিধান পরিবর্তন করা উচিত।
তিনি বলেন, কোরীয় উপদ্বীপে যদি যুদ্ধ শুরু হয়, তবে দেশের সংবিধানে ‘দখল’, ‘পুনরুদ্ধার’ এবং দক্ষিণকে এর ভূখণ্ডে ‘অন্তর্ভুক্ত’ করার বিষয়টি প্রতিফলিত হওয়া উচিত।
২০১১ সালে কিম জং-ইলের পর উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় আসেন কিম। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া যুদ্ধ চায় না। তবে তা এড়ানোর কোনো উদ্দেশ্যও আমাদের নেই।