দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ১২ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার শর্তে এ জামিন দেওয়া হয়েছে।
১২ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় করা জামিন আবেদন বুধবার (৬ মার্চ) মঞ্জুর করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। তবে আরও মামলা থাকায় তিনি এখন মুক্তি পাচ্ছেন না।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, কমিশনকে জামিনের বিষয়টি জানিয়েছি। এখন কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে আপিল করা হবে।
২০২২ সালের ২২ জুন রফিকুল আমীনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে দেওয়া ২০০ কোটি জরিমানার স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি নথিও তলব করেন উচ্চ আদালত।
২০২২ সালের ১২ মে বিচারিক আদালতে এই মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা।
এর মধ্যে রফিকুল আমীনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।