পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচ চীনা নাগরিকসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহত অপরজন পাকিস্তানের নাগরিক।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) প্রদেশের শাংলা জেলার বিশাম তহশিলে (উপজেলা) এ ঘটনা ঘটে।
শাংলা জেলার পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ আলী গান্দাপুর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রাজধানী ইসলাবাদ থেকে পাঁচ চীনা নাগরিককে বহনকারী একটি গাড়িবহর খাইবার পাখতুনখোয়ার দাসু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্দেশে রওনা হয়। বিশাম এলাকায় প্রবেশের পর বহরটিতে বিস্ফোরকভর্তি একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে। কিছুসময় পর সেটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় চীনা নাগরিকদের বহন করা গাড়িটি সড়কে পাশের খাদে পড়ে। পরে সেটিতে আগুনে ধরে যায়।
বিস্ফোরণের পরপরই প্রাদেশিক পুলিশ সেখানে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালানো এবং আলামত সংগ্রহের কাজ করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে থাকা ৫ চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তিনিও মারা গেছেন। বখত জহির নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, বোমাবাহী গাড়িটি চীনা গাড়িবহরে কোথা থেকে এসে কীভাবে ঢুকে পড়লো, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। এ ছাড়া পাকিস্তানের নতুন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকও নিন্দা জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি এক বিবৃতিতে বলেছেন, শত্রুরা পাকিস্তানের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ট মিত্রদেশের নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এটা কেবল চীনের নাগরিকদের ওপর নয়, পাকিস্তানের ওপরও হামলা। সরকার এই হামলার উচিত জবাব দেবে।
২০২১ সালেও পাকিস্তানে চীনা নাগরিকদের বহনকারী একটি বাসে বোমা হামলা হয়। সে ঘটনায় নিহত হন ১৩ জন। নিহতরা দাসু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান ছিলেন।