ইরানের বিরুদ্ধে ‘কূটনৈতিক আক্রমণ’ শুরু করল ইসরায়েল। দেশটি ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানাল।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি ৩২টি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বলেছেন তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে।
ইসরায়েল ইরানের সামরিক হামলার জবাব দেবে কি না- গুঞ্জনের মধ্যেই এ পদক্ষেপের কথা জানা গেল।
ইরান গেল শনিবার রাতে তিন শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরায়েলের দিকে। তেহরান বলছে, এটি সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাব।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মিত্রদের সহযোগিতায় হামলার ৯৯ শতাংশই প্রতিহত করতে পেরেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। দেশটির দক্ষিণের একটি সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কাৎজ এক্স হ্যান্ডলে বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র ও ইউএভি ছোড়ার সামরিক প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি আমি ইরানের বিরুদ্ধে একটি কূটনৈতিক আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আজ সকালে আমি ৩২ দেশে চিঠি পাঠিয়েছি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিশ্বের নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বলেছি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রজেক্টে নিষেধাজ্ঞা দিতে এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে।
কাৎজ এটি স্পষ্ট করেননি, কোন কোন সরকারের কাছে তিনি নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন। আর আইআরজিসি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কালো তালিকাভুক্ত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত।
কাৎজ জোর দিয়ে বলেন, খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে, ইরানকে এখনই থামতে হবে।
শনিবারের হামলার জবাব দেওয়ার কথা ভাবছে ইসরায়েল। উত্তেজনা এখন চরমে। গাজা যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়িয়ে দিতে পারে, এমন শঙ্কার মধ্যে মিত্ররা তেল আবিবকে সংযত থাকতে বলছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ সামরিক কমান্ডাররা প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন, যদিও এসব অনির্ধারিত।
সেনাপ্রধান হার্জি হালেভি সোমবার বলেন, ইসরায়েলের ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ার জবাব দেওয়া হবে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।