মিসৌরির সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে গত শনিবার ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভের সময় পুলিশের হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে একজন অধ্যাপক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সেন্ট লুইস বোর্ড অব অল্ডারমেনের সভাপতি মেগান গ্রিন ‘এক্স’ বার্তায় বলেছেন, আহত ওই অধ্যাপক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি প্রশাসনের নির্দেশে শনিবার পুলিশ এ সহিংসতা চালিয়েছিল।
শনিবার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন দক্ষিণ ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এডওয়ার্ডসভিলের অধ্যাপক স্টিভ তামারি।
তার স্ত্রী সান্দ্রা তামারি সোমবার তার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্টে বলেছেন, তার ৬৫ বছর বয়সী স্বামীকে পুলিশ নির্মমভাবে মারধর করেছে।
তামারি বলেন, ওই ঘটনার সময় হলুদ জ্যাকেট পরা ব্যক্তিটি তার স্বামী।
তিনি আরও বলেন, সেন্ট লুই ফিলিস্তিনের জন্য জেগে উঠতে থাকবে। তামারি (স্বামী) একাধিক ভাঙা পাঁজর এবং একটি ভাঙা হাত নিয়ে হাসপাতালে রয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, গত শনিবার ক্যাম্পাসে মোট ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থিদের ওপর পুলিশের হামলার পর দেশব্যাপী কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটিগুলোকে ইসরায়েল থেকে বিচ্ছিন্ন করার দাবিতে এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ক্যাম্পাসে শত শত ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স এবং মিশরসহ আরও কয়েকটি দেশের শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।