ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনা একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে। এ প্রস্তাবে রাজি ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
হামাস কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বিষয়টিকে আশাব্যঞ্জক বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তবে জাতিসংঘে গৃহীত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি নিয়ে কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীরা হামাস কিংবা ইসরায়েলের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো উত্তর পাননি। যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা এমনটি জানিয়েছেন।
দুপক্ষই অবশ্য মঙ্গলবার বলেছে, যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনাটি তাদের বিরোধপূর্ণ উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে চুক্তির দিকে কোনো অগ্রগতি হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ভোটের পর বলেছেন, তার দেশ এমন কোনো অর্থহীন ও টানা আলোচনায় জড়িত হবে না, যার মাধ্যমে হামাস সুবিধা নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের একটি খসড়া থেকে জানা যায়, তিন ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপে জিম্মি-বন্দি বিনিময় এবং স্বল্প মেয়াদের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে রাখা হয়েছে স্থায়ীভাবে সংঘাতের অবসান এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার।
তৃতীয় ধাপে রয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, যেটি কার্যকর হলে গাজায় কয়েক বছরব্যাপী পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের আনা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে রাশিয়া ভোট দেওয়ায় বিরত ছিল।
জাতিসংঘে ভোটের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই মধ্যপ্রাচ্য সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরব নেতাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, যদি যুদ্ধবিরতি চান, হ্যাঁ-বলতে হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করুন।