ফ্রান্সে পার্লামেন্টারি নির্বাচনের প্রথম ধাপ রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কেন্দ্রে থাকা দেশটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কট্টর ডানপন্থী সরকারের সূচনা হতে পারে।
চলতি মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে খারাপ ফলের জেরে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বিষয়টি ফ্রান্সের অনেককে হতবাক করে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচনাকারী এবং অভিবাসন বিরোধী মেরিন লে পেনের অতি ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) বর্তমানে ক্ষমতার অনেক কাছাকাছি অবস্থান করছে।
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে ছোট শহরগুলোতে। আর বড় শহরগুলোতে ভোট চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে আগামী সপ্তাহে।
নির্বাচনীয় ব্যবস্থা জাতীয় পরিষদের ৫৭৭ আসন বন্টণকে জটিল পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। এ কারণে চূড়ান্ত ফল পেতে ৭ জুলাইয়ের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
গত বুধবার একটি সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লে পেন বলেন, আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয় পেতে যাচ্ছি। জয় পেলে অতি ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালির (আরএন) ২৮ বছর বয়সী নেতা জর্দান বারদেলা ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
লে পেনের দলের উচ্চ ব্যয়ের অর্থনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। দলটি অভিবাসনও কমাতে চায়। আরএন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ফ্রান্সের কূটনীতি নজিরবিহীন অশান্তির মধ্যে পড়বে, যেখানে ম্যাক্রোঁ ২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার কথা বলছেন।
জনমত জরিপ বলছে, আরএন মোট ভোটের ৩৩ থেকে ৩৬ শতাংশ পেতে পারে। আর নিউ পপুলার ফ্রন্ট ২৮ থেকে ২৯ শতাংশ, প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী দল ২০ থেকে ২৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে।