জরিপে এগিয়ে থাকলেও মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের জয়ের অনিশ্চয়তা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কমলার পক্ষে অতিরিক্ত সমর্থন আদায়ের জায়গা অতি সামান্য। সেইসাথে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোই মার্কিন নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র ২২ দিন বাকি। ৫ নভেম্বরের এই ভোট যুদ্ধকে সামনে রেখে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন শেষ সময়ের দৌড়ঝাঁপ করে চলেছেন। এমন অবস্থায় ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যাচ্ছে জনমত জরিপের হিসাব-নিকাশ।
কাগজে-কলমে দেশজুড়ে কমলা হ্যারিস রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় কমবেশি ২ পয়েন্টে এগিয়ে। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত সাতটি ‘ব্যাটল গ্রাউন্ড’ অঙ্গরাজ্যের চারটিতে খুব সামান্য ব্যবধানে হলেও এগিয়ে কমলা। তারপরও নভেম্বরের নির্বাচনে তাঁর বিজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ যাচ্ছে না।
নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের প্রবেশের পর ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকদের মধ্যে যে প্রবল আশাবাদের সঞ্চার হয়েছিল, তা এখন কার্যত এক জায়গায় এসে ঠেকে রয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কমলার পক্ষে অতিরিক্ত সমর্থন আদায়ের জায়গা হয়তো আর নেই বা থাকলেও অতি সামান্য।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড্যারেল এম. ওয়েস্ট বলেন, এবারের নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা খুব অল্প ব্যবধানে জয়ী হবে। কয়েকটি সুইং স্টেট হবে ভাগ্য নির্ধারণের জায়গা।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে কমলার অবস্থা কার্যত অপরিবর্তিত। বিজয় নিশ্চিত করতে তাঁকে এখানে কমবেশি যেমন ব্যবধানেই হোক, জিততে হবে। সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে অনেকের। এমন অবস্থায় দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোই মার্কিন নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।