সমালোচনা এবং বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।
এর আগে কোরিয়ার সংসদ সামরিক আইন ঘোষণার রাষ্ট্রপতির পদক্ষেপে না ভোট দিয়েছে।
এ বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটের পর ইউন সুক বলেন, সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের অবস্থান তিনি মেনে নেবেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ আইন প্রত্যাহার করা হবে।
তারও আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা সব আইনপ্রণেতাদের দেশের আইনসভা জাতীয় পরিষদের সামনে জড়ো হতে আহ্বান করেন। জাতীয় পরিষদের সামনে বিক্ষোভকারীরা সামরিক আইনের বিরোধিতা করে স্লোগান দেয় এবং স্বৈরাচারের পতন দাবি জানায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় কয়েক ডজন টহল পুলিশের গাড়ি এবং দাঙ্গা পুলিশের বাস দেখা যায় সেখনে।
সংসদে ভোটের পর টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, পার্লামেন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা সামরিক বাহিনীকে জানিয়েছি। পার্লামেন্টের প্রস্তাব গ্রহণ ও সামরিক আইন প্রত্যাহার করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠক করছে। বৈঠকের পর সামরিক আইন তুলে নেওয়া হবে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক দেশের নিরাপত্তা ও সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষায় আকস্মিক সামরিক আইন জারি করেন।
এসময় তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানসমূহের কার্যক্রম ও উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে। যে কারণে দেশের সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সামরিক আইন জারি করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।