গাজায় স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে ইসরায়েল। স্যাটেলাইট চিত্র এবং ভিডিও বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস।
নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ৬শ ভবন ধ্বংস করে একটি বাফার জোন তৈরি করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সূত্রে তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী অঞ্চলটিতে কমপক্ষে ১৯টি বড় ঘাঁটি স্থাপন করেছে, পাশাপাশি বহু ছোট প্রতিরক্ষা স্থাপনাও রয়েছে। যার মধ্যে যোগাযোগ টাওয়ারও রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয় গাজা অঞ্চলকে বিভক্ত করে ইসরায়েল ৪ মাইল দীর্ঘ নেটজারিম করিডর তৈরি করছে যা শত শত ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তর দিকে ফিরে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে, পেন্টাগনের মুখপাত্র প্যাট রাইডার বলেছেন, তিনি এই প্রতিবেদনটি দেখেছেন তবে এর তথ্য গুলোর বিষয়ে নিশ্চিত নন।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি প্রথমত, গাজার যুদ্ধবিরতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হওয়া উচিত এবং সেখানে মানবিক সহায়তার প্রবাহ বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা এটাও চাই না যুদ্ধবিরতির পর এবং হুমকি না থাকলে ইসরায়েল গাজা দখল করে থাকুক। যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে ইসরায়েলের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যুদ্ধবিরতি, বন্দি মুক্তি এবং এই ভয়াবহ সংঘাতের অবসান।
প্রতিবেদনটির বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেছেন, যদি ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করার রিপোর্টগুলো সত্যি হয়, তবে এটি নিশ্চিতভাবেই আমরা গাজায় যা দেখতে চাই তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এটি অবশ্যই টোকিওতে সেক্রেটারি (অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন) যে নীতির কথা বলেছিলেন তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে না। যদি তা সত্যি হয়, তবে এটি নিয়ে আমরা ইসরায়েলের সাথে খুব গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করব।
২০২৩ সালের নভেম্বরে টোকিও সফরে ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে গাজার ফিলিস্তিনিদের উৎখাত হওয়া উচিত নয়— না এখন এবং না যুদ্ধের পর।