নির্বাচন সামনে রেখে রাশিয়ার সম্ভাব্য হাইব্রিড আক্রমণের জবাব দিতে বার্লিনকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিওস এমনটি বলেন।
হাইব্রিড হামলা হলো এক ধরনের সাইবার আক্রমণ। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে একটি দেশের আইটি, নেটওয়ার্ক এবং বিভিন্ন ডিভাইসে প্রবেশের চেষ্টা চালানো হয়।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) জার্মানির সংবাদমাধ্যম ফুংকে মেডিয়েনগ্রুপেকে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, হাইব্রিড হামলার দিকে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর এর লক্ষ্য হলো জার্মানি। তিনি ভালো করেই জানেন, কীভাবে আমাদের খোঁচা দিতে হয়।
এ সময় তিনি জার্মানির অবকাঠামো এবং জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করেন। এরমধ্যে রয়েছে নর্থ সি এবং বাল্টিক সি’র ঘটনা যার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়।
তিনি মনে করেন, জার্মান সমাজকে বিভক্ত করতে ক্রেমলিনপন্থি গোষ্ঠীগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে (নির্বাচনে) ডানপন্থী এবং জনপ্রিয়তা পাওয়া দলগুলো লাভবান হবে।
বোরিস পিস্টোরিওস বলেন, পুতিনের এই কৌশল ঠেকাতে সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছুই করতে হবে।
মস্কোর পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে কোনো হুমকি না থাকলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বলে সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়াকে ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করতে পারেন পুতিন। এর ফলে দেশটি ন্যাটোর সদস্যদের ওপর হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেবে।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, আগামী কয়েক বছরে ন্যাটো কতটা জোটবদ্ধ তা-ও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন পুতিন।