আফগানিস্তানে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই এবং আফগান সংবাদমাধ্যম খামা প্রেস।
এতে বলা হয়, আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
খামা প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার লামানসহ সাতটি গ্রামকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার রাতে এসব বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন।
তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এই বোমা হামলার জন্য দায়ী। প্রতিবেদনগুলোতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, বিমান হামলায় বারমালের মুর্গ বাজার গ্রামটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া এ হামলার ফলে বেসামরিক মানুষ গুরুতর হতাহতসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে, যা এই অঞ্চলে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। হামলার পর উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খামা প্রেস রিপোর্ট করেছে যে, হামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করতে এবং হামলার দায় স্পষ্ট করতে আরও তদন্ত প্রয়োজন।
এ বিমান হামলার পর তালেবানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আফগান এই মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের ভূখণ্ড এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা তাদের বৈধ অধিকার। একইসঙ্গে তারা এই হামলার নিন্দা করেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দেশটির সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে, সীমান্তের কাছে তালেবানদের আস্তানাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিরাজ করছে ঠিক তখনই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের উপস্থিতি নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।