শিরোনাম
অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ রাষ্ট্র সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রে রাশিয়ায় হামলা করল ইউক্রেন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 22 February, 2018 23:40

কলকাতা উপ-হাইকমিশনে মাতৃভাষা দিবস পালন

কলকাতা উপ-হাইকমিশনে মাতৃভাষা দিবস পালন
মেইল রিপোর্ট :

কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হলো মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’।
উপ-হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা অর্ধনমিত করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
এরপর ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতের পর বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত প্রভাতফেরি শুরু হয়।
প্রভাতফেরি পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে উপ-হাইকমিশন চত্বরে এসে শেষ হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন কলকাতার কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য, কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিক, কলকাতার ভাষাপ্রেমী, কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের সদস্যরা।
প্রভাতফেরি শেষে উপ-হাইকমিশন চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

পরবর্তীতে মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।
এরপর উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান তার বক্তৃতায় বলেন, দল মত নির্বিশেষে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা নিজ নিজ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলি, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বেশি করে মাতৃভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করি- আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
২১শে ফেব্রুয়ারির প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরতে বিকেলে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে এক বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলকাতায় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট প্রতিনিধিরা এতে নিজ নিজ ভাষায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পরিবেশন করেন। যার মধ্যে ছিলেন ফ্রান্স, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ড. লীনা তাপসী খান, সাজিদ আকবর ও সালমা আকবর। এছাড়া কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

 

 


নিউইয়র্ক মেইল/কলকাতা/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এইচএম

উপরে