ত্রিপুরায় জামানত হারিয়েছেন মমতার বেশিরভাগ প্রার্থী
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত উত্থান হল বিজেপির। নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম যেন মুছে গেছে। ২৪টি আসনে লড়াই করে প্রায় সবকটিতেই জামানত হারিয়েছেন দলটির প্রার্থীরা।
কয়েক বছর আগেও ত্রিপুরায় বাম সরকারের উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। অথচ এই বিধানসভার নির্বাচনী ফলাফলে এর উল্টোচিত্র দেখা গেলো।
শনিবার সকালে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর বিজেপির সঙ্গে বামফ্রন্টের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের চিত্র দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত বামফ্রন্ট পিছিয়ে পড়েছে। রাজ্যটিতে এর আগে নরেন্দ্র মোদির দলের কোনো অবস্থানই ছিল না। এখন কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে সিপিএমকেও ঠেলে ছোট রাজ্যটিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় তাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছিল। জামানত বাঁচানো তো বটেই দুই একটি আসনের জন্য দলের হেভিওয়েট নেতা থেকে তারকা সদস্যদের ত্রিপুরায় পাঠিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু আসন পাওয়া তো দূরের কথা প্রায় সব আসনেই জামানত জব্দ হয়েছে তাদের।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমকে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত বলেন, আমরা মাত্র এক মাস সময় পেয়েছিলাম। আসন পাবো সে আশা করিনি। আমরা চেয়েছিলাম কেবল বিজেপিকে ঠেকাতে। ফলাফল বিশ্লেষণ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারবো না।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ত্রিপুরায় নিজেদের শোচনীয় অবস্থার থেকেও তৃণমূল বেশি চিন্তিত প্রতিবেশী রাজ্যে বিজেপির উত্থান নিয়ে। কারণ গোটা দেশে মোদি সরকারের সবেচেয়ে বেশি বিরোধিতা করে যাচ্ছেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি চাপে রেখেছে। এরইমধ্যে ত্রিপুরার এই ফল মমতার জন্য মাথাব্যথার কারণ হবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যদিও তৃণমূল শিবির সেটি মানতে নারাজ।
নিউইয়র্ক মেইল/কলকাতা/৪ মার্চ ২০১৮/এইচএম