শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 11 March, 2018 23:58

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস মোদির

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস মোদির
মেইল রিপোর্ট :

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে।

রোববার নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ) সম্মেলনের ফাঁকে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মোদি রাষ্ট্রপতিকে এ আশ্বাস দেন।

বৈঠকে মোদি রাষ্ট্রপতিকে আরো জানান, ভারত দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষীত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুর সমাধান চায় এবং এ জন্য সববিষয় নিয়ে ভারত কথা বলছে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছে। এর আগে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয় তুলে ধরেন যা ব্যাপকভাবে তিস্তা নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টন প্রশ্নে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা তাকে (মমতা) সঙ্গে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছি।’

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৪৭ বছর পরে তাঁর আসাম ও মেঘালয় সফরের বিষয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রপতির এই সফরের ব্যাপারে মোদি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনি সত্যিকারেই একজন ভালো মানুষ, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘকাল পরে আপনার এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ।’

১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান রাখা ভারতীয় নাগরিকদের সম্মাননা জানানোর ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য আমরা সম্মান বোধ করছি।’ বঙ্গভবনে সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে মোদি রাষ্ট্রপতি ভবনে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার প্রশংসা করে বলেন, এটি বর্তমানে বাংলাদেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশের প্রতিফলন নির্দেশ করে।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীর চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসায় তাদের নিরাপদ, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে স্বদেশে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

মোদি বলেন, ভারতের সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে এবং দিন দিন এই সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সংশ্লিষ্ট হাইকমিশনার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

 

নিউইয়র্ক মেইল/দিল্লী/১১ মার্চ ২০১৮/এইচএম

উপরে