হরিণ হত্যা মামলায় সালমান খানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বণ্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের ৫১-এর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সালমানকে।
তবে তিনি চাইলে একই আদালতে জামিন আবেদন করতে পারেন। একই মামলায় অন্য চার অভিযুক্ত ছিলেন সাইফ আলি খান, টাবু, নীলম এবং সোনালি বেন্দ্রে। তাদের বেকসুর ঘোষণা করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ভারতের যোদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খাতরি এ রায় ঘোষণা করেন।
১৯৯৮ সালে ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে গিয়ে যোদপুরের কঙ্কানি গ্রামের কাছে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন সালমান খান।
সালমান যখন জিপসি গাড়ি চালিয়ে শিকারে যান, তখন সাইফ আলী খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার পর সালমানসহ অন্য অভিনেতাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনের ৫১ নম্বর ধারায় মামলা করা হয়। এ ছাড়া বেআইনিভাবে জঙ্গলে ঢোকার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৯ নম্বর ধারাতেও মামলা করা হয়।
গত ২৮ মার্চ নিম্নআদালতে কৃষ্ণসার মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। তখন সালমান খানের আইনজীবী এইচএম সারস্বতের দাবি করেন, সরকারি কৌঁসুলি অভিযোগের সাপেক্ষে প্রমাণ সংগ্রহ করতেই পারেননি। মামলা সাজাতে ভুয়া সাক্ষী দাঁড় করিয়েছেন। এমনকি বন্দুকের গুলিতেই যে কৃষ্ণসার দুটির মৃত্যু হয়েছিল, তাও প্রমাণ করতে পারেননি।
এদিকে এই হত্যা মামলার রায় ঘোষনার পর থেকেই মুম্বইয়ের পরিচালক, প্রযোজকদের মাথায় হাত।
জি নিউজ এর তথ্য মতে, এই মুহূর্তে রেমো ডি’সুজার ‘রেস থ্রি’-র শুটিংযে ব্যস্ত সালমান খান। আবু ধাবি থেকে শুটিং সেরে সবে সবে মুম্বইতে ফেরেন সালমান। সেখান থেকেই সোজা চলে যান যোধপুরে। জানা যায়, চলতি বছর ঈদের সময়ই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল সালমান খান অভিনীত ‘রেস থ্রি’-র। অন্যদিকে অতুল অগ্নিহোত্রীর ‘ভরত’ এবং আলি আব্বাস জাফরের ‘কিটি’-তেও রয়েছেন সালমান। ফলে, সালমানের রায় ঘোষণার পর বলিউডের নামী পরিচালকরা কয়েক কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিগ বাজেটের সিনেমার পাশাপাশি বিভিন্ন টিভি শো-এর জন্যও সালমানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছে বেশ কিছু টেলিভিশন চ্যানেল।‘দাস ক দম’, বিগ বসের ১২-এর সিজন সহ একাধিক শো রয়েছে সালমানের হাতে। প্রসঙ্গত গত ৮ বছর ধরে বিগ বস-এর সঞ্চালক হিসেবে দেখা যাচ্ছে সালমানকে। সব কিছু মিলিয়ে কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় সলমনের রায় ঘোষণার পর চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে পরিচালক, প্রযোজকদের কপালে।