রবীন্দ্র ভবনে দর্শনার্থী বইয়ে যা লিখেছেন শেখ হাসিনা
শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র ভবনে দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করে মতামত প্রধান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মতামতে তিনি লিখেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরর স্মৃতিধন্য রবীন্দ্রভবনে কবিগুরুর রচিত পাণ্ডুলিপি, পত্রাবলী এবং চিত্রকর্মের এক সুবিশাল ভাণ্ডার পরিদর্শন করতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। এ ভবনের সংগ্রহসমূহ আমাকে মুগ্ধ করেছে এবং সংরক্ষণের লক্ষে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের গৃহীত উদ্যোগসমূহ বাংলা তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য অবদান রক্ষায় প্রশংসার দাবিদার।
শেখ হাসিনা আরও লেখেন, এছাড়া এখানে অবস্থিত রবীন্দ্র স্পর্শধন্য উত্তরায়ণ কমপ্লেক্স এর যথাযথ সংরক্ষণও আমাকে বিমোহিত করেছে। আশাকরি, ভবিষ্যতেও কবিগুরুর স্মৃতিসমূহ সংরক্ষণে বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষ একই রকম তৎপরতা বজায় রাখবেন যাতে বিশ্ববাসী কবিগুরুর সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন। আমি রবীন্দ্র ভবনের স্থায়িত্ব ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
শুক্রবার দুপুরে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লিতে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি নিকেতনের সমাবর্তনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন, যা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বিকেলে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবাসস্থল বিখ্যাত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করেছেন। কলকাতার উত্তরে রবীন্দ্র সরণীর সিংহী বাগানে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির বিভিন্ন কক্ষ প্রধানমন্ত্রী ঘুরে দেখেন। এ বাড়িতেই ১৮৬১ সালের ৭ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন এবং শিশুকাল থেকে জীবনের অধিকাংশ সময় কাটান এবং এখানেই ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট তিনি মারা যান।