ফেসবুক-টুইটারে জনপ্রিয়তা দেখে দেওয়া হবে ভোটের টিকিট
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা বাড়াতে হবে। ফেসবুক, টুইটার এবং হোয়াটসঅ্যাপে হতে হবে সক্রিয়। আর তা না হলে ভারতের বিধানসভা ভোটের টিকিট মিলবে না।
গত রোববার দলীয় কর্মীদের প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সিপি শেখরের সই করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি প্রার্থীর নিজস্ব ফেসবুক পেজ থাকতে হবে। থাকতে হবে টুইটার অ্যাকাউন্ট।
সেখানে আরো উল্লেখ অাছে, ফেসবুকে লাইকের সংখ্যা কম করে ১৫ হাজার এবং টুইটারে ফলোয়ার সংখ্যা পাঁচ হাজার হতে হবে। ন্যূনতম এই ‘যোগ্যতা’টুকু থাকতেই হবে।
পাশাপাশি, সকল দলীয় কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সক্রিয় থাকতে হবে। আর অবশ্যই এমপিসিসি-র টুইটার অ্যাকাউন্টে কিছু পোস্ট করা হলে তা লাইক করতে হবে। করতে হবে রিটুইটও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনার জন্য বিজেপি নির্দিষ্ট কোর গ্রুপও আছে। আর প্রতি মুহূর্তে জনপ্রিয়তা বাড়ছে ফেসবুক-টুইটার-হোয়াটসঅ্যাপের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো বর্তমানে ফেসবুক-টুইটারে ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠছেন রাহুল গান্ধীও। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, আরো বেশি করে জনমত প্রচার, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ কংগ্রেসের।