স্বামী কখনই স্ত্রীর প্রভু না: ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট

পরকীয়া কোনো অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিমকোর্ট। এ ছাড়া ইংরেজ শাসনকালে তৈরি এ আইনের ৪৯৭ ধারা অসাংবিধানিক।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ বলা হয়, এই আইন স্বেচ্ছাচারিতার নামান্তর। মহিলাদের স্বাতন্ত্র্য খর্ব করে। স্বামী কখনই স্ত্রীর প্রভু বা মালিক হতে পারেন না।
ব্রিটিশদের তৈরি করা ১৮৬০ সালের আইনকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এ রায় দেন দেশটির শীর্ষ আদালত।
১৮৬০ সালের ওই আইনে বলা হয়েছে- কোনো ব্যক্তি কোনো মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করলে এবং ওই মহিলার স্বামীর অনুমতি না থাকলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।
এ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেন জনৈক যোশেফ শাইন। তার পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন রাজ কালিশ্বরম। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এ রায়ে আমি খুশি।
এ আইনকেই চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা হয়। মামলাকারীর দাবি ছিল, ঔপনিবেশিক শাসনকালে পুরুষের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হতো মহিলাকে। তার ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছিল এ আইন।
রায়ে আরও বলা হয়েছে, কারও যৌনতার অধিকারকে আইনি পরিসরে বেঁধে দেয়া ঠিক নয়। কাউকে সমাজের ইচ্ছানুযায়ী ভাবতে এবং কাজ করতে বাধ্য করার অর্থ তার স্বাধীনতা খর্ব করা। এটি মহিলাদের অধিকার রক্ষা এবং সমানাধিকারের পরিপন্থী।