শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 19 January, 2019 02:39

মোদি বিরোধী জোট গড়তে মমতার ব্রিগেড সমাবেশ

মোদি বিরোধী জোট গড়তে মমতার ব্রিগেড সমাবেশ
কলকাতা প্রতিনিধি :

ভারতে্র মাটিতে বিজেপি বিরোধী ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের লক্ষ্যে আগামীকাল শনিবার কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ঐতিহাসিক সভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

এই সভার ২৪ ঘণ্টা আগে ব্রিগেডের সভার প্রস্তুতি খতিতে দেখতে এসে মমতা জানান, ভারতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১২৫টির বেশি আসন পাবে না।

তিনি বলেন, কংগ্রেস কত আসন পাবে তা আমি বলতে পারবো না। তবে এই সভায় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কয়েকজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন জাতীয় স্তরের নেতা থাকবেন। তারা তাদের নিজেদের মতামত ব্যাক্ত করবেন।

মমতা বলেন, ‘আমি শুধু শুনবো। কারও উপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। শুক্রবার থেকেই কুমারস্বামী, অখিলেশ যাদব, শারদ পাওয়ার, শারদ যাদব, মায়াবতীর ডান হাত বলে পরিচিত সতীশ মিশ্র, ওমর আব্দুল্লাহ, ফারুক, বাবুলাল মারান্ডিরা আসবেন। আমরা তাদের জন্য অপেক্ষা করছি।’
 
বিগ্রেডের এই সমাবেশ ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার ঐতিহাসিক সমাবেশ হচ্ছে। এর আগে এতো বড়ো সমাবেশ হয়নি। এই ব্রিগেডের সমাবেশ থেকেই বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক মারা হবে।

মমতা জানান, ১৯ তারিখ ব্রিগেড সভা শেষে নেতাদের জন্য চা চক্রের আয়োজন করা হবে। যারা আসবেন তারা যদি মিডিয়াকে কিছু বলতে চান তার ব্যাবস্থাও করা হবে।

মমতা দাবি করেন, বিজেপির বিরুদ্ধে জনতার মহাজোট তৈরি হচ্ছে। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি, আগামী নির্বাচনে ভারতের আঞ্চলিক দলগুলি নির্নায়ক শক্তি হবে। ১৯৯৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বামেদের বিদায়ের জন্য মৃত্যুঘন্টা বাজিয়েছিলাম, এবার বিজেপির পালা।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মমতার তৃণমূল পেয়েছিলো ৪২ টি আসনের মধ্যে ৩৪টি আসন। এবারে রাজ্যের সবগুলো আসন দখলের লক্ষ্য নিয়েছে তৃনমূল।

এদিকে, মমতার ডাকে কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশের আগে বিজেপির বিদ্রোহী সাংসদ তথা তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে জানিয়েছেন, আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম যখন দুই সাংসদের দল ছিলো বিজেপি। তারপর তা শক্তিশালী করার চেষ্টা করে গিয়েছি। কিন্ত এখন আর সেই বিজেপি নেই।

তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসসহ আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট তৈরি করছেন। ইতিমধ্যেই মমতার ফর্মুলা বহু জায়গায় কাজে লেগেছে। হিন্দি বলয়ের বহু জায়গায় হেরে গিয়েছে বিজেপি। আমি সেই ফ্রন্টকে শক্তিশালী করতে চাই। তিনি মমতাকে জাতীয় স্তরের নেত্রী বলেও অবিহিত করেন।

পাশাপাশি, শনিবার মমতার ব্রিগেড সমাবেশকে সমর্থন করে শুক্রবার মমতাকে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ওই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মমতাদি বলে সম্বোধন করে রাহুল লেখেন, কলকাতার ব্রিগেডের সমাবেশ ঐক্যবদ্ধ ভারত সমাবেশ হবে।

রাহুল আরো লেখেন, ‘মমতাদি, আপনি যেভাবে ভারতকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে চলেছেন তাকে আমি পুর্ন সমর্থন জানাই। আমার বিশ্বাস সমস্ত বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয়তাবাদ এবং উন্নয়ন দিয়ে গনতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধর্মনিরিপেক্ষতার স্তম্ভকে রক্ষা করবে। যা বিজেপি ও কেন্দ্রের মোদি সরকার ধ্বংস করে দিচ্ছে। লক্ষ লক্ষ ভারতীয় নাগরিককে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে। ফলে মানুষ রেগে রয়েছেন। এই শক্তি আগামীর নতুন আশা নিয়ে আসবে। বাংলার মানুষকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি ওই ঐতিহাসিক সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য।’

প্রসঙ্গত, ব্রিগেডের সভা ঘিরে শুক্রবার থেকেই কলকাতায় জারি হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। রাস্তায় রাস্তায় করা হচ্ছে যান নিয়ন্ত্রন। শুক্রবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ব্রিগেডের সভা উপলক্ষে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন। আগত সকলের জন্য খাওয়া দাওয়া এবং থাকার এলাহি আয়োজন করা হয়েছে কলকাতার বুকে।

উপরে