শিরোনাম
আগে চারজন দাঁড়াত, এখন একটা মারলে ৪০ জন দাঁড়াবে: ড. ইউনূস প্রযুক্তিগত ত্রুটি, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচল বন্ধ গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ নিহত রাশিয়ার ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ নিয়ে সতর্কতা জার্মানির ভারতে মসজিদে ‘সমীক্ষা’ চালানো ঘিরে সংঘর্ষ, নিহত ৩ সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 22 January, 2019 11:47

ভারতে কর্মস্থলে নারীদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা

ভারতে কর্মস্থলে নারীদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা
প্রতীকী ছবি
মেইল রিপোর্ট :

ডিসেম্বরেই নামাজ পড়া নিয়ে সরগরম হয়েছিল নয়ডার সেক্টর ৫৮। তারপরই শিরোনামে উঠে এলো নয়ডার সেক্টর ৬৪-এর একটি সংস্থার কথা। যেখানে মহিলা কর্মীদের জন্য অফিসেই নামাজ পড়ার আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোম্পানির সিদ্ধান্তে খুশি সেখানকার নারী কর্মীরা।

পার্কে বসে নামাজ পড়া নিয়ে গত মাসেই নয়ডা'য় উত্তেজনা ছড়ায়। এক শুক্রবার নয়ডার সেক্টর ৫৮-র একটি পার্কের মধ্যে নামাজ পড়া নিয়ে আপত্তি তোলে পুলিশ। নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, জনসাধারণের জন্য ব্যবহৃত এলাকায় যেন কোনোরকম ধর্মীয় কার্যকলাপ না হয়। এমনকি শুক্রবারের নামাজও পড়া যাবে না। কোনও সংস্থার কর্মীরা এমনটা করলে সেই সংস্থাকেই কাঠগড়ায় তোলা হবে।

শহরের একটি সেক্টরের ছবি যখন এরকম, তখনই সম্প্রীতির নজির গড়ল সেক্টর ৬৪-এর একটি পোশাকের কারখানা। যেখানে প্রায় ৬০ জনেরও বেশি মুসলিম নারীকর্মী কাজ করেন। কাজের পাশাপাশি নামাজ পড়তে তাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য কারখানার ছাদে আলাদা জায়গা করে দিয়েছেন মালিক। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক শুক্রবার বেলা ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত একঘণ্টার বিরতি দেয়া হয় নারী কর্মীদের। যাতে তারা নামাজ পড়তে পারেন। পুরুষ ও নারীদের নামাজের জন্য কারখানার ছাদে দুটি আলাদা অংশ রয়েছে। সেই সঙ্গে থাকে মাদুর ও পাপোশের ব্যবস্থা। এমনকি প্রতি শুক্রবার একজন ইমামও হাজির হন।

তবে শুধু মুসলিম কর্মীদের জন্যই নয়, হিন্দুকর্মীদের জন্যও কারখানায় নবরাত্রি এবং ভজনের আয়োজনও করা হয়। মালিকের বক্তব্য, কর্মক্ষেত্রে যাতে কর্মীদের মন ভালো থাকে এবং হাসিখুশি থাকে, সেই প্রয়াসই করা হয়েছে। গত দশ বছর ধরেই তার প্রতিষ্ঠানে এমন ব্যবস্থা চালু করেছেন ওই পোশাক কারখানার মালিক।

উপরে