পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, ব্যাপক ক্ষতি এয়ার ইন্ডিয়ার
পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনী হামলার পর ভারতের ওপর দেশটির আকাশপথ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ভারতের এয়ারলাইন এয়ার ইন্ডিয়াকে। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে এয়ারলাইনটির।
এয়ার ইন্ডিয়া জানায়, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপগামী ফ্লাইটগুলোর ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হচ্ছে। পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে না পারায় এসব দেশে যেতে গেলে অনেক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ বেড়ে গেছে।
বিমান সংস্থাটি জানায়, ভারত থেকে যে বিমানগুলো ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক ও শিকাগো যাচ্ছে, সেগুলোকে গুজরাট হয়ে আরব সাগর পার হতে হচ্ছে। সাধারণত দূরের গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে বিমানগুলোকে জ্বালানি ভরতে মাঝে অন্তত একবার অবতরণের প্রয়োজন পড়ে।
আরও জানায়, পাকিস্তানের আকাশ ব্যবহার করতে না পারায় জ্বালানি ভরতে এয়ার ইন্ডিয়ার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপগামী বিমানগুলোকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ কিংবা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অবতরণ করতে হচ্ছে। ফলে গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সময় ও খরচ বেড়েছে গেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ধরনের প্রত্যেকটি অবতরণের জন্য গড়ে ৫০ লাখ রুপি করে খরচ হচ্ছে তাদের। গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। তাই প্রতিদিন বাড়তি খরচের কারণে জ্বালানি ভরতে ভিয়েনায় বিমান অবতরণের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও জানায়, আপাতত দুটি বিমান ভিয়েনায় অবতরণ করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপগামী বাকি বিমানগুলোর জ্বালানি ভরা হবে মুম্বাই থেকেই।
গণমাধ্যমটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র যেতে সাধারণত বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর এবং বোয়িং ৭৭৭-২০০এলআর বিমান ব্যবহার করে এয়ার ইন্ডিয়া। জ্বালানি ভরতে মাঝে অবতরণ এবং অনেকটা পথ ঘুরে যাওয়ায় দেশটিতে পৌঁছাতে নির্ধারিত সময়ের থেকে চার ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে যাত্রীদের।
আরও জানায়, পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে না পারায় ইউরোপগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৮৭-৮০০ ড্রিমলাইনার সেবাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বার্মিংহাম ও মাদ্রিদগামী অনেক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়াকে। যে বিমানগুলো যাচ্ছে, সেগুলো নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পরে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।