কাশ্মীরে আংশিকভাবে ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা চালু
টানা পাঁচদিন উত্তেজনার পর কাশ্মীর উপত্যকায় আংশিকভাবে ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবা চালু হয়েছে।
শুক্রবার মুসলমানদের পবিত্র প্রার্থনা নির্বিঘ্নে পালনের জন্যও নিরাপদ ব্যবস্থা ছিল। তবে ভারত কাশ্মীর থেকে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী সরিয়ে নিচ্ছে না। সেখানে কারফিউ থাকবে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিংহ গণমাধ্যমকে বলেন,‘কাশ্মীরের নাগরিক প্রতিবেশীদের সঙ্গে প্রার্থনায় যোগ দিতে পারেন। এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে নিজেদের এলাকার বাইরে অন্যত্র না যাওয়ার পরামর্শ তাদেরকে দেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিরাপদে ঈদ-উল-আযহা পালনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছেন। পাশাপাশি সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের কারণে কাশ্মীরে নতুন যুগের সূচনা হবে বলেও মন্তব্য করেন। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার কাশ্মীরের পরিস্থিতি নির্বিঘ্নে কাটলে কড়াকড়ি নিরাপত্তা কিছুটা শিথিল হতে পারে। কাশ্মীরের শ্রীনগরে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় প্রার্থনাস্থল ‘জামা মসজিদ’ বন্ধ রয়েছে। প্রার্থনার জন্য আশেপাশের মসজিদগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা শিথিল হলেও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীদের গৃহবন্দি থেকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাদেরকে মুক্তি দিলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার শক্সক্ষা করছেন। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা মোকাবেলায় ৭০জন জঙ্গিকে কাশ্মীর থেকে বিমানে আগ্রার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাশ্মীরে প্রায় ৪০ হাজার অতিরিক্ত সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।