কাশ্মীরে আবারও কারফিউ
আবারও কারফিউ জারি করা হলো কাশ্মীরের শ্রীনগরে। জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় আছে- রাজ্য পুলিশ এবং সরকারের এই দাবির কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই আবারও কারফিউ জারি করা হয়েছে।
গাড়িতে করে লাউডস্পিকার নিয়ে স্থানীয়দের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করছে পুলিশ। সঙ্গে দোকানপাটগুলোও বন্ধ করে দিতে বলছে তারা।
শনিবার জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে টুইটারে বলা হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। রাজ্যের কোনও অংশে অশান্তির কোনও খবর নেই। সঙ্গে মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
সোমবার ঈদ। তার আগে রোববার সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে ঈদের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। এদিনও কাশ্মীরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা।
এদিকে, কাশ্মীরে মৃতের জন্য শোক করাও যাচ্ছে না। ভারতীয় সান্ধ্য আইনে রুদ্ধ হয়ে পড়া কাশ্মীরে মৃতের জন্য শোকপ্রকাশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শ্রীনগরে যখন তার বাবা হঠাৎ করে মারা যান, ইরফান আহমাদ ভাটের দুঃখও সামরিক অচলাবস্থার মধ্যে হারিয়ে গেছে।
যোগাযোগ বন্ধ থাকায় পরিবার সদস্যরা যেমন মৃতের জানাজায় অংশ নিতে পারেননি, তেমনি তিনি যে মারা গেছেন, তা বহু লোককে জানানো সম্ভব হয়নি।
ভাট বলেন, আমার সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে যে আমার বাবার ঘনিষ্ঠ স্বজনরা কবরে নেয়ার আগে তার মুখটা শেষ বারের মতো দেখতে পারেননি। এমনকি তার জানাজায়ও আসতে পারেননি।
গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রীনগরে ইন্টারনেট ও ফোন অকার্যকর। শহরটির ১৫ লাখ লোক ঘর থেকেই বের হতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুসারে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার প্রস্তাব সমর্থন করে ভারতের সংসদ। একই দিনে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানায় ।
এদিকে কাশ্মীর ইস্যুতে বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে একে একে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করছে পাকিস্তান।