কাশ্মীর ইস্যুতে সোচ্চার হওয়ার আহবান প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর
কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে এবং সেখানকার রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার (২৪ আগস্ট) কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ শীর্ষ নেতৃত্ব সেখানে গেলেও তাদের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানোয় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা।
টুইটারে নিজের অ্যাকাউন্টে একাধিক বার্তায় কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বলেন, কাশ্মীরিদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেয়ে বেশি ‘রাজনৈতিক ও জাতীয়তা-বিরোধী’ আর কিছু হতে পারে না।
রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের বিরোধী নেতারা দিল্লি থেকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে নামলে তাদের সেখান থেকেই ফেরত পাঠায় কর্তৃপক্ষ। তবে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্লেনে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস নেতাদের পেয়ে কাশ্মীরের এক ক্ষুব্ধ নারী তাদের দুর্দশার বিষয়টি তুলে ধরেন।
সেই ভিডিওটিই টুইটারে শেয়ার করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘এমন অবস্থা আর কতোদিন চলবে? ‘জাতীয়তাবাদের’ নামে যে লাখো মানুষকে স্তব্ধ করে রাখা হয়েছে এবং দুর্দশায় ফেলা হয়েছে, তাদের মধ্যেই একজনের প্রতিক্রিয়া দেখুন।’
আরেকটি টুইটে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘কাশ্মীরে সব গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেয়ে বেশি ‘রাজনৈতিক ও জাতীয়তা-বিরোধী’ আর কিছু হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া আমাদের দায়িত্ব এবং আমরা এ দায়িত্ব এড়িয়ে যাবো না।’
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় সংবিধানে রাখা ৩৭০ অনুচ্ছেদ আগস্টের শুরুতে বাতিল করে দেয় নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে নাটকীয় কায়দায় অঞ্চলটিজুড়ে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। বন্দি করা হয় সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহসহ মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতাকে। ইন্টারনেট, ক্যাবল নেটওয়ার্কসহ যাবতীয় সব যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কারফিউ জারি করে রাস্তায় রাস্তায় সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় সশস্ত্র বাহিনী।