জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৯ দিন পর চলাচলের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অধীনে অঞ্চলটির মানুষের চলাচল ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, সব অঞ্চল থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল বেড়েছে। এছাড়া ল্যান্ডলাইনগুলো পুরোপুরি কাজ করছে এবং কুপওয়ারা জেলা ও হান্দওয়ারা শহরের মোবাইল ফোনগুলো যথেষ্ট পরিমাণে সক্রিয় আছে।
তবে একাধিক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আরেকটি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, হজরতবালের পাঁচটি পুলিশ স্টেশনের আশেপাশে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় এলাকাটিতে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ, কাশ্মীর ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে। ৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করা, দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা; পাকিস্তান ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করা; বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া এবং পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করা।
এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং তাদের রাষ্ট্রদূতদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।