শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে এসে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম নারী সম্পাদক ঈশানী দত্ত রায়
বিশেষ প্রতিনিধি:
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা বাংলা সংবাদপত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন। ৯৯বছরের পথ চলা শুরু। ২০২২সালে শতবর্ষে পদার্পণ করবে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই বাংলা পত্রিকাটি। শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে এসে এই প্রথমবার একজন নারী সম্পাদক নিয়োগ দিয়েছেন কতৃপক্ষ। সম্পাদক হিসেবে গত ৩১ মে রোববার দায়িত্ব নিয়েছেন বার্তা সম্পাদক ঈশানী দত্ত রায়। ওইদিন দুপুরে সম্পাদক অনির্বান চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করায় কতৃপক্ষ সম্পাদক হিসেবে ঈশানী দত্ত রায়ের নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যদিয়ে ঈশানী দত্ত ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন।
নবনিযুক্ত সম্পাদক ঈশানী কলকাতার ক্রাইস্ট চার্চ স্কুল, বেথুন কলেজ ও প্রেসিডেন্সিতে পড়াশোনা করেছেন। প্রথমে ১৯৯৬ সালে আনন্দবাজারে যোগ দেন। মাঝে কিছুদিন পড়াশোনার জন্য চাকরিতে ইস্তফা দেন। ফের ২০০৪ সালে যোগ দেন। সেই থেকে টানা নানা দায়িত্ব সামলেছেন। আর এবার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
কোটি পাঠকের প্রিয় আনন্দবাজার পত্রিকা ভারতের সবচেয়ে বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র। বছরের পর বছর ধরে আনন্দবাজার পত্রিকা যে সম্মান এবং স্বীকৃতি পেয়ে এসেছে, তার থেকেই প্রমাণ হয়, সাধারণ মানুষের মনে এই সংবাদপত্রের প্রতি কী অপরিসীম ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে।
১৯২২ সালের ১৩ মার্চ আনন্দবাজার পত্রিকা সান্ধ্য দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল। আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল দোলযাত্রার দিন। তাই পুরো সংবাদপত্রে প্রকাশিত সমস্ত অক্ষরের রং ছিল লাল।
ইংরেজ প্রশাসন নতুন এই বাংলা সংবাদপত্রকে এক অবশ্যম্ভাবী 'বিপদ সঙ্কেত' বলে চিহ্নিত করল। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে নির্ভীক ও আপসহীন মনোভাব নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিতে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল একমাত্র এই সংবাদপত্রটি। পক্ষপাতহীন মতামত, গঠনমূলক সমালোচনা, অদম্য সাহস ও আপসহীন মনোভাব আনন্দবাজার পত্রিকা মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। অনেকটা পথ পেরিয়ে গত ৯৮টি বছর ধরে বহুল প্রচারিত এই বাংলা সংবাদপত্রটি অংসখ্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সেরা শিরোনাম এই পত্রিকার একটি বৈশিষ্ট।