শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 17 June, 2020 01:00

লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় এবং ৪৩ চীনা সেন্য নিহত: চরম উত্তেজনা

লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় এবং ৪৩ চীনা সেন্য নিহত: চরম উত্তেজনা

অনলাইন ডেস্ক:

সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীন সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারতীয় সেনাদের পাল্টা হামলায় চীনের ৪৩জন সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবং বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ৫০ বছরের মধ্যে এটাই চীন-ভারত সীমান্তে সবচেয়ে বড় আকারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা।

মঙ্গলবার সকালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় পয়েন্ট ১৪ ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষের খবর প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিক ভাবে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছিল, সোমবার রাতের সংঘর্ষে, ভারতীয় সেনার ১ কর্নেল-সহ তিন জন নিহত হয়েছেন। সেনা এবং সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে, একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করে, চিনের অন্তত পাঁচ জন সেনা নিহত হয়েছেন সোমবার রাতের সংঘর্ষে। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।

ভারতীয় সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সোমবার রাতে সংঘর্ষে আরও ১৭ জন গুরুতর ভাবে জখম হয়েছিলেন। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অত উঁচুতে, খোলা আকাশের নীচে আহত অবস্থায় দীর্ঘ ক্ষণ থাকার ফলে তাঁদের মৃত্যু হয়। ওই সেনা সূত্রকে অভিহিত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই দাবি করেছে, ওই সংঘর্ষস্থল থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পিছু হটেছে দু’পক্ষই। সেনা জানিয়েছে, ভারতীয় ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা রক্ষা করতে তারা বদ্ধপরিকর।

এর আগে এই সংঘর্ষে ৩ জন ভারতীয় সেনা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। মঙ্গলবার সকালে জানানো হয়, সংঘর্ষে ভারতীয় বাহিনীর এক কর্নেল ও দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। পরে মঙ্গলবার রাতে ভারতের সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন ওই সীমান্ত সংঘাতে। সরকারি সূত্রের মতে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এ সংঘর্ষে চীনা বাহিনীরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেখানে চীনা বাহিনীর অন্তত ৪৩ জন হতাহত হতে পারে বলে ধারণা ভারতীয় সেনা বাহিনীর। তবে চীনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি জানানো হয়নি।

ভারতীয় সেনা বাহিনীর বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সোমবার রাতের ওই সংঘর্ষে আরও ১৭ জন গুরুতর আহত হয়েছিল। পরে হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় বৈরি আবহাওয়ার কারণে খোলা আকাশের নীচে তাদের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে সংঘর্ষস্থল থেকে দুই পক্ষই পিছু হটেছে বলে দাবি করেছে এএনআই।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, কয়েক দশক পর পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এমন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১৯৬২ ও ১৯৭৫ সালের পর চীন-ভারত সীমান্তে এটি কোনো রক্তাক্ত সংঘর্ষের ঘটনা।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই পক্ষের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠকে বসে উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা করেছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, এনআই, আনন্দবাজার

উপরে