চুতরাপাতা | মেহেদী ধ্রুব
- ও মজিদ, আমারে একটু আগায়া দিবি ভাই, ভাইরে, আমি একলা যাইতে পারতাম না, বুক ফাইট্টা মইরা যায়াম।
- ওই গোলাম, তুই এমন মাইগ্যা ক্যায়া? শালা ভীতুর ডিম, বেডা মানুষ হইয়া রাতের ব্যালা এক বাড়ি থেইকা আরেক বাড়িতে যাইতে পারস না।
- ভাই না বালা, কব্বরওয়ালা পর্যন্ত আগায়া দে, পরে আমি একলাই যাইতারাম, যে আন্ধার, কিচ্ছু দেহা যায় না, ভাই না বালা।
মজিদদের তো খেয়ে দেয়ে কাম কাজ নাই যে গোলাম হোসেনকে আগায়া দিবে! তারা বরং ট্রানজিস্ট্ররে কান পেতে আছে, এই বুঝি এলো নতুন সংবাদ! তাছাড়া নিশুতি রাতে তাদের কাজ আছে, যাকে বলে দমবন্ধ কাজ।
কিন্তু গোলাম হোসেনকে যেতেই হবে, কত কী যে ঘটে যাচ্ছে কত দিকে! বাড়িতে বউ একলা, এই সুযোগে যদি বাতেন চলে আসে অথবা যদি মেজর সাব খবর পেয়ে যায় তাহলে কিচ্ছু করার থাকবে না।
তাকে কেউ একটু আগায়া দিলে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেত। কিন্তু অনেক জোরাজুরি করার পরও কাউকে সঙ্গে আনতে পারে না সে, ওরা সরাসরি বলে দিয়েছে ‘আমগর মিটিং আসে, ট্রেনিং করতে ইন্ডিয়া যায়াম।’
গোলাম হোসেন এসব কথার মানে বোঝে অথবা বোঝে না, তবে এটুকু পরিষ্কার বুঝতে পারে যে ওরা তাকে নিয়ে খেলে; যেন সে একটা জর্দার খালি কৌটা, যে যার মতো লাথি মারে, উষ্ঠা মারে।
এই যে এখন ওদের কথার লাথিতে বমি চাপছে ওর। এই বুঝি মুখ দিয়ে ওয়াক করে বেরিয়ে আসবে গুড়, চিড়া অথবা পেঁয়াজ-মরিচের সঙ্গে মুড়ি। সে দুয়েকবার পেট চেপে ওয়াক করে শব্দ করলেও থামে না ওরা।
- কিরে মাইগ্যা, আমরা হুনচি, বাতেনের লগে নাকি তোর বউ রঙ্গতামাশা করতাছে!
- আগায়া দিবা না বালা কথা, আজগুবি কথা কইবা না শেখের ব্যাটা, ভালো হইবো না কিন্তু, আমি কী একলা যাইতে পারি না, এইতা ভূত-পেত্নীরে আমার ঠ্যাংগেও ডরে না।
- এই দেখ, দেখ, ভীতুর বাচ্চার সাহস ক্যামন উতলায়া উঠতাছে, আরে বেকুবের বাচ্চা এহন বাড়িতে যা, ঘরে তোর বউ একলা, কওয়া তো যায় না...।
কথা কিন্তু ঠিক, মরার কী চিন্তা করে যে এলো সে! বউ কী জানি করে, মাথায় আসে না কিছু, বাবা মারা যাওয়ার পর বউ নায়েবের ছেলে বাতেনের সঙ্গে রঙ্গতামাশা করছে, তবে বউকে কিছু বলার মতো সাহস ওর নেই; কিন্তু এখন বাড়িতে যাবে কেমনে, বমির চাপ তো বেড়ে যাচ্ছে, অথচ সমাইন্না সমাইন্নাদের সঙ্গে তো রাগ দেখায়া কীসব বলে ফেলছে, এখন কী যে হবে!
সে একটার পর একটা তীরের ঘাই খেয়ে যাচ্ছে। সে দমে যাবে যাবে করেও হাতড়ে বেড়ায়, রান্নাঘরের খড় দিয়ে বেণি পাকায়। তারপর আগুন হাতে সে আগায় রাতের কোণা ধরে, যেন কবরের অন্ধকার এই লুলা পথকে ক্ষুধার্ত অজগরের মতো কষে ধরেছে। তখন মান্দাইয়ের টেকের ল্যাংড়া সজনে গাছে বসে একটানা অভিশাপ দিচ্ছে একটা হুতুম পেঁচা। এই ডাক সহ্য করার শক্তি বা সামর্থ্য তার নেই। তবু তার পা চলে মৃতের মতো, অন্ধ, ঠাণ্ডা ও শব্দহীন।
পথের দুই পাশে গজারি গাছের সারি, মাঝখানে লাল মাটির এবড়োথেবড়ো গর্ত, গরুর গাড়ির দাগ; উল্টাপাল্টা পা পড়লে আর রক্ষা নেই, মট করে ভেঙে যাবে। অথচ সামনেই সেই জায়গাটা, মানে কব্বরওয়ালা।
সে একটু দম নেয়, তার মনে হয় তেঁতুল গাছে কে যেন কান্না করছে, এবার সে দিশা না পেয়ে দৌড়াতে থাকে সরু পথটা ধরে, কুত্তাদৌড় যাকে বলে, কে যেন পিছু নিয়েছে, কতক্ষণ দৌড়ায় কে জানে, তবে অনেকটা পথ ঘুরে ঝোপঝাড় মাড়িয়ে একসময় নিজের ঘরে ঢুকে।
কিন্তু তার হাত-পা উরু সব চুলকাচ্ছে কেন? চুতরাপাতা ধরে নাইতো? আরে হ্যা, তার শরীর চাকা চাকা হয়ে যাচ্ছে, চামড়া ফুলে লাল হয়ে যাচ্ছে। তার স্পষ্ট মনে পড়ছে, সে যে পথ দিয়ে এসেছে যে ঝোপঝাড় মাড়িয়ে এসেছে সেটা আসলে চুতরার টেক, এই টেকে খুব দরকার না পড়লে কেউ যায় না, চুতরাপাতা খাবলায়া ধরে।
তার এই অবস্থা দেখে বউ তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে, অন্যদিকে ফিরে শুয়ে পড়ে। তখন সে কী করে! ও মায়াগো ও আল্লাগো করতে করতে মেঝে থেকে ধুলো নিয়ে হাত-পায়ে ঘষে, একটু যদি কমে জ্বালা যন্ত্রণা।
অথচ তার ঘরেই কিনা চুতরাপাতা রেখে দেয় বউ, ওকে যে কেন চুতরাপাতা ধরে না আল্লাহ্ই জানে। ইস্কুল ঘরে ক্যাম্প হওয়ার পর থেকে কী এক পরিবর্তন যে হল, কী যে করে, সব আবোল-তাবোল, কিচ্ছু বোঝা যায় না, পাগল পাগল সব কারবার। এই যে চুতরাপাতা ঝুলিয়ে দিয়েছে দরজায়, রান্নাঘরে, গোসলখানার বেড়াতে। মরার বউ চুতরাপাতা ধরে লাউপাতার মতো, কই, কিছুইতো হয় না তার।
কিন্তু এই পাতা তাকে যেখানে সেখানে ধরে, শালার চুতরাপাতা জীবনভরে জ্বালিয়ে খাচ্ছে, আর কাউকে পাক না-পাক, তাকে পাবেই। একদিন এই চুতরাপাতা তুলে আনতে রাজি হয়নি বলে হিজড়ার অপবাদও সহ্য করতে হয়েছে তাকে, আল্লাহ্ই জানে, বউ এই পাতা দিয়ে কী করে!
এসব চিন্তা আর চুতরার চুলকানি নিয়ে বউয়ের পাশে শুয়ে ছাও কুত্তার মতো কুঁ কুঁ করে ও, ধরা গলায় বউকে ডাকে, মরার বউ তো ওঠে না। লিল্লার চোখ খালি চেয়ে থাকে; ওইদিকে ঘরের চাল মটমট করে ওঠে।
কিন্তু পায়ের গোছা মোটা, হাতের কব্জি মোটা বউ কী এতো তাড়াতাড়ি ওঠে! তখন তার জবান বন্ধ হয়ে আসে। সূরা-কেরাত সব খেয়ে ফেলে যখন ঘরটা নড়তে থাকে। আর কিছু মনে থাকে না তার। মনে থাকবে কেমনে? মুরুব্বিরা কয়, ‘মা মরলে বালামসিবৎ পায়ে পায়ে আর বাপ মরলে গায়ে গায়ে।’ পায়ে পায়েরটা পার করেছে ছোটবেলায়; কিন্তু গায়ে গায়েরটা তো কেবল হল শুরু।
গত শুক্রবারে জুমা পড়ার জন্য মুসল্লিরা যখন জড়ো হয় তখন ওয়াইদ্দার দীঘিতে তার বৃদ্ধ বাবার অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায়। কিন্তু মিলিটারিরা মারলে তো লাশ পাওয়া যেত না, গেলও গাঙের জলে ভাসত, গুলি-টুলি লাগছে কি-না তাও বোঝার উপায় ছিল না। আর যাবে কেমনে, আজোইরা মাছে শরীরের অর্ধেকটা খেয়ে ফেলেছিল, ভাগ্যিস তার হাতের আঙুল ছিল ১২টা, তা নাহলে লাশ শনাক্ত করা সম্ভব ছিল না।
দুই.
নায়েব ও তার ছেলে বাতেন বলে বেড়াচ্ছে স্কুলঘরের ক্যাম্পে যে মেজর সাব বসবাস করছে সে নাকি বেশ আল্লাহ্ওয়ালা লোক, তাহাজ্জুতের নামাজও নাকি মিস হয় না, অথচ তার ঘরে বিবি নেই, পোলাপাইন নেই, তাই সে আল্লাহ্ রাসূলকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করতে চায় একটা, কিন্তু এই তল্লাটে বিয়ে করার মতো মেয়ে মানুষের খুব আকাল।
অবশ্য বাপ-ছেলে একজনের কথা ভেবে রেখেছে, সে আর কেউ না, লালমতি বেগম, দুই চার গ্রামে লালমতির মতো লাল মেয়ে কয়টা আছে? একটু পাগলা কিসিমের হলে কী হবে, বিয়ে না হয় হয়েছে একটা, তাতে কী, বাচ্চাকাচ্চা হয়নি এখনও, তাছাড়া ওই ভোদাইমার্কা গোলাম হোসেনকে তো অনেকে হিজড়া বলেও ডাকে, মেজর সাবের কাছে ঠিকঠাক নিয়ে যেতে পারলে অথবা হিতে হিতে লালমতিকে রাজি করাতে পারলেই কাম সারা, তাছাড়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও নাকি মিল নেই। তাই ইদানীং এইদিকে বাপ-ছেলে জমানোর চেষ্টা করছে।
অথচ এই জমানো দেখে ও শুনে গোলাম হোসেন ঝিম ধরে বসে থাকে। কী আর করবে তার মতো মরদ? বউ হাতের মুঠের বাইরে চলে গেছে, আমূলে পাল্টে গেছে! বউ বাতেনকে রান্না করে খাওয়ায়। ওই শালার ব্যাটা আবার নির্লজ্জের মতো এটা-সেটা নিয়ে আসে। শ্বশুর মরে যাওয়ার পর ওদের পথের কাঁটা দূর হয়েছে।
অথচ বউ কালো কবুতরের থকথকে সান রান্না করে, গরুর কলিজা ভাজা ভাজা করে, রুটির সঙ্গে মাংস ভুনা করে, তারা খায় আর খায়, উড়ে আর উড়ে।
মাঝে মাঝে পুরনো চ্যাপা, বেশি করে পেঁয়াজ, রসুন ও সমান পরিমাণ বালুঝুড়ি মরিচ দিয়ে এমন এক পুলি বানায় যে সাত বাড়ি পর্যন্ত গন্ধে আকুল করে ফেলে। নুয়ে পড়া বৈকালে বাতেন সেই পুলি দিয়ে চিকন চালের ভাত খায় আর হাত চাটে।
এসব দৃশ্য দেখে যে কোনো মানুষের মাথায় রক্ত উঠে যাওয়ার কথা; কিন্তু গোলাম হোসেন বুদ্ধের মতো ধ্যানমগ্ন থাকে। এই যেমন আজ বিকালে জামাইয়ের মতো আসন পেতে বসে পুলি দিয়ে ভাত খেয়েছে বাতেন, খাওয়া শেষ হলে পুলি, শাকের বড়া, শাক ভাজি নিয়ে গেছে মেজর সাবের জন্য, লালমতি বাতেনকে বলেছে ‘আপনে এই পুলি ও শাক বড়া মেজর সাবরে দেবেন, আর আমার কথা বলবেন, আমি দিছি, সে যেন খায়, এইডা হইল আমগর ভালোবাসার পয়লা মধু’।
এই মধুর সঙ্গে এক খিলি পান বানায়া দেয় লালমতি। বাতেন তা মুখে পুড়লেও তার কলিজার ভেতরে যেন চুতরাপাতা খাবলায়া ধরে, তারপরও সে ক্যাম্পের দিকে হাঁটে।
কিছুক্ষণ হাঁটার পরে বাবার সঙ্গে দেখা হয়, সে বাবাকে অনুরোধ করে মেজর সাবের জন্য এই খাবার নিয়ে যেতে, বাবা ঢেঙ ঢেঙ করে রাজি হয় এবং কুত্তাদৌড়ে ছুটে ক্যাম্পের দিকে। সেভাবে, কী সুযোগ গো, সে যদি বলে তার বিবি নিজের হাতে মেজর সাবের জন্য রান্না করেছে তাহলে কেমন হয়, ওহো, এবার সে যাচ্ছে শেয়ালের পায়ে।
অবশ্য এসব খাবার মেজর সাব খেয়েছিল কিনা জানা যায় না, তবে পরের দিন গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় নায়েবের, কে বা কারা যে মারল তার হদিস পাওয়া যায় না, গোলাঘাট পুলের সাইডে পাথরের ওপর পড়ে ছিল নিথর দেহটা।
তিন.
নায়েবের মৃত্যুর নবম দিনে নুয়েপড়া বিকালে বাতেনের সঙ্গে মেজর সাব আসে, একা একা, সে ভালো করেই জানে প্রেমের মধু খেতে হলে একাই যেতে হয়। এদিকে সকাল থেকে লালমতি সেজে আছে, তাকে রূপবানের মতো লাগছে, গোলাম হোসেনের চোখে-মুখে অন্য এক খেলা খেলা করে, আজ সে দেখবে কী হয়, বাতেন ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে, ভাঙা ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে হোসেন লক্ষ রাখছে।
লালমতি ও মেজর সাব রঙ্গতামাশায় মেতে উঠেছে, এসব দেখে মরা মানুষের শরীরও জেগে ওঠার কথা, অথচ হোসেন দাঁত কিড়মিড় করে পড়ে আছে।
বউ যে এত তেন্দর এত ভাজুনে তা জানা ছিল না হোসেনের, কেমন করে মেজরের সঙ্গে কীসব করছে, অথচ নিজের বউয়ের কাছ থেকে এসব আদর কখনও পায়নি। সে আর ঠিক থাকতে পারছে না, হাতে-পায়ে জ্বলনি ধরে গেছে। এবার সে লক্ষ করে এতক্ষণ ধরে একটা চুতরাগাছকে ধরে রেখেছে।
শালার কপাল, যেখানে সেখানে চুতরা বিছায়া রাখছে, চুতরাপাতা তার ভেতরে কী এক জ্বালা ধরিয়ে দেয়, কী এক মানুষে পরিণত করে, সে খেয়াল করে তার ঘরের বেড়ার সঙ্গে একটা শাবল পড়ে আছে, সে একবার শাবলের দিকে তাকায় তো আরেকবার ঘরের ভেতরে। হঠাৎ গলাচেরা চিৎকার শুনতে পায়, নারীর নয়, পুরুষের।
সে দৌড়ে ঘরে ঢুকে দেখে বিছানার ওপর রক্ত আর রক্ত। সঙ্গে সঙ্গে বউ চিল্লায়, ‘কাইট্টা দিছি, এক্কেবারের গোড়া থেইকা কাটছি, তুই মানুষ চিনস না, এই লালমতি বেগম তোগোর মতো হারামিগরে বায়ে ঠ্যাংগের সঙ্গে বাইন্ধা রাখবার পারে, শালা, হারামির ঘরের হারামি।’
তখন মেজর সাবের বেগুনপোড়া পুরুষাঙ্গ থ্যাবড়ানো ইঁদুরের মতো লুটোপুটি খায়, সেই রক্তমাখা ধুলোমাখা ইঁদুরের গায়ে কয়েকবার থুতু নিক্ষেপ করে নাগিনীর মতো ফুঁস ফুঁস করে লালমতি বেগম। বউয়ের এমন রুদ্রমূর্তি দেখে সে থরথর করে কাঁপে। বউ এবার তার দিকে দৃষ্টি ফেরায় আর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে বর্শার ফলার মতো তীক্ষ্ণ বুলি।
- ওই গোলাম, তুই সারাজীবন গোলাম হইয়া থাকবি বইল্যাই তোর বাপ মায়ে তোর নাম রাখছে গোলাম, তোর বাপের হত্যার বদলা নিছি চুতরাপাতা রাইন্ধা পাঠায়া, এইবার শালার আড়া কাইট্টা দিলাম, তুই পুরুষ মানুষ হইয়া একগাছি চুতরাপাতা সামলায়া চলতে পারসস না, বাপের হত্যার শোধ নিবি কেমনে? যা এইবার ঘরে চুড়ি পইরা বইয়া থাক, শালা, মাইগ্যা।’
সে মরা গাঙে ভেসে ওঠা বিসর্জিত গণেশের মতো নিথর হয়ে পড়ে আর লালমতি বেগম আহত বাঘিনীর মতো গোঙাতে গোঙাতে সেই ইঁদুরকে বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের চিপায় ঝুলিয়ে চিৎকার দেয় আতু আতু বলে।
ঝড়ের বেগে কয়েটা কুকুর ছুটে আসে আর সঙ্গে সঙ্গে সে আঙুলের বর্জ্যটা নিক্ষেপ করে, একটা কুকুর মহা উল্লাসে তা মুখে পুড়ে পশ্চিমের দিকে ছুটে আর তখন গোলাম হোসেন শাবল হাতে দারুণ আক্রোশে ছুটে বাতেনের পিছু পিছু।