বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত সিন্ধিয়া ঘাট, ডাকবাংলো
আমাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে। বাড়ির ১০০ ফিট দূরত্বে অবস্থিত সিন্ধিয়া ঘাট, ডাকবাংলো। আব্বার কাছে শুনেছি আগে ডাকবাংলোর উপরে ছনের চালা ছিল।আগে যখন নদীর অবস্থা ভালো ছিল, তখন সিন্ধিয়া ঘাটে বড় বড় লঞ্চ, জাহাজ ভীড়তো।
এই সিন্ধিয়া ঘাট, ডাকবাংলোতে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এসেছেন, বিশ্রাম নিয়েছেন।
আমার প্রায়ই বাড়ি যাওয়া হয়। বাংলোর বারান্দায় বসি। গ্রামের মুরুব্বিদের কাছে বঙ্গবন্ধুর কথা শুনি। আগে দাদার কাছে শুনতাম।
দাদার কাছেই শোনা, একবার বঙ্গবন্ধু সিন্ধিয়া ঘাট, ডাকবাংলোয় আসলেন। আমার দাদা বঙ্গবন্ধুর মাথা টিপে দিচ্ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করলেন, স্যার এই যে আপনি মানুষের ভালোর জন্য কাজ করতে যেয়ে জেল খাটেন, আপনার তো অনেক কষ্ট হয়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি কষ্ট না করলে তোদের দেখবে কে?
মাঝে মাঝে ভাবি, আমার দাদা কত ভাগ্যবান ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে স্পর্শ করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
লেখক: উপ পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।