মন্ত্রীদের বেতন ১০ শতাংশ কমাবে মাহাথির সরকার
মালয়েশিয়ায় সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের বেতন ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে মাহাথির নেতৃত্বাধীন সরকার। এছাড়াও রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ১৭ হাজার সরকারি আমলা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।
এদিকে নাজিব রাজাক সরকারের নেয়া কিছু প্রকল্প বাতিল বা পুনর্বিবেচনা করবেন তিনি। সরকারের ব্যয় ও বৈদেশিক ঋণের বোঝা কমানোর লক্ষ্যে এসব পদক্ষেপ নিবেন তিনি।
বুধবার বাণিজ্যিক রাজধানী পুত্রজায়ায় প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মাহাথির।
সরকারি কর্মচারীদের ব্যাপারে মাহাথির বলেন, আগের সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় যারা নিয়োগ পেয়েছেন- এমন ১৭ হাজার আমলা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হবে। তিনি বলেন, ‘সরকারি জনশক্তিতে চুক্তিভিক্তিক কর্মচারীর সংখ্যা অতিরিক্ত হয়ে গেছে। তবে সরকারি গাড়িচালকদের মতো কর্মচারীদের ছাড় দেয়া হবে।’ তবে যাদের ছাঁটাই করা হবে, তাদের একটি অংশকে যোগ্যতা অনুযায়ী অন্য কাজে নিযুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রীদের বেতনের ব্যাপারে মাহাথির বলেন, মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের বেতন এখন থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা যে দেশের আর্থিক সমস্যাকে গুর“ত্ব দিয়ে দেখছি, এ পদক্ষেপে সেটা প্রমাণিত হবে।
মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের ওয়েবসাইট মতে, বেতন কমানোর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বেতন ছিল ২২ হাজার ৮২৭ রিংগিত, উপপ্রধানমন্ত্রীর ১৮ হাজার ১৬৮ রিংগিত, মন্ত্রীদের ১৪ হাজার ৯০৭ রিংগিত ও উপমন্ত্রীদের ১০ হাজার ৮৪৮ রিংগিত।
সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বেতন কমানো হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাহাথির বলেন, ১৯৮১ সালে আমাকে যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী করা হল, প্রথম যে কাজটা আমি করেছিলাম সেটা হচ্ছে, মন্ত্রী আর সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের বেতন কর্তন।
মালয়েশিয়ার ঋণ ২৫ হাজার ১৬৭ কোটি ডলার:
মালয়েশিয়া বর্তমানে ১ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোটি রিংগিত (২৫ হাজার ১৬৭ কোটি ডলার) বৈদেশিক ঋণের জালে আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাহাথির। এ ঋণ দেশটির মোট জিডিপির ৬৫ শতাংশের সমান। পাহাড় পরিমাণ এ ঋণের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে দায়ী করেছেন তিনি।
মাহাথির বলেন, ‘দেশের অর্থ ব্যবস্থা এমনভাবে অপব্যবহার করা হয়েছে যে, এখন আমাদের ঋণের পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন রিংগিতে দাঁড়িয়েছে। এটি আমাদের জন্য এখন বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আগে কখনও এই ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়নি। আগে আমরা ৩০০ বিলিয়ন রিংগিতের বেশি ঋণের মুখোমুখি হইনি।