শিরোনাম
৮ নভেম্বর লন্ডনে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া! যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের জার্মানিতে ইরানের সব কনস্যুলেট বন্ধ ঘোষণা কড়া নিরাপত্তায় নয়াদিল্লির বাংলোয় আছেন শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলে দাঁতভাঙা জবাব পাবে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 2 June, 2018 02:28

চাঁদা তুলে মালয়েশিয়ার ঋণ শোধ করছে জনগণ

চাঁদা তুলে মালয়েশিয়ার ঋণ শোধ করছে জনগণ
মেইল রিপোর্ট :

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের ডাকে সাড়া দিয়ে চাঁদা তুলে দেশের ঋণ শোধ করছে দেশটির জনগণ। এ বিষয়ে সরকারের এক ঘোষণার পর মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ২০ লাখ ডলার গণতহবিল গঠিত হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে এ ঘটনা। বৈদেশিক ঋণ শোধে মালয়েশিয়ার এ ‘গণতহবিল মডেল’ অনুসরণ করা যায় কিনা সে আলোচনায় মুখর টুইটার-ফেসবুক।

সরকারের এ উদ্যোগ শুরু হয় ২৭ বছর বয়সী এক মালয়েশীয় দেশপ্রেমিক নাগরিকের হাত ধরে। বৈদেশিক ঋণ শোধে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তহবিল গঠন শুরু করেন ওই ব্যক্তি।

এরপরই দেশটির অর্থমন্ত্রী লিম গুয়ান ইং বলেন, মালয়েশিয়ার বৈদেশিক ঋণের বোঝা কমাতে দেশের নাগরিকেরা তাদের আয় থেকে অর্থ দিতে চায়।’

এরপর গণতহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি। একইসঙ্গে একে তিনি ‘পদ্ধতিগত ও স্বচ্ছ’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করার প্রতিশ্র“তি দেন। ১ ট্রিলিয়ন রিঙ্গিতেরও বেশি ঋণ রয়েছে মালয়েশিয়ার। দায়িত্ব নেয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর ২১ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথমবার আলোচনায় এ তথ্য জানান মাহাথির মোহাম্মদ।

দেশের এ অবস্থার জন্য দুর্নীতি মামলায় তদন্তাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নেতৃত্বে থাকা প্রশাসনকে দায়ী করে তিনি বলেন, দেশের অর্থ অপচয় করা হয়েছে। যে কারণে আমাদের এখন ঋণ পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ঋণের অংক ১ ট্রিলিয়ন রিঙ্গিত ছাড়িয়ে গেছে।

মাহাথির আরও বলেন, আমরা এর আগে কখনই এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করিনি। এর আগে কখনই ৩০ হাজার কোটি রিঙ্গিতের বেশি ঋণী হইনি আমরা। কিন্তু এবার তা ১ ট্রিলিয়ন রিঙ্গিত ছাড়িয়েছে গেছে। নাজিব সরকার জিএসটির মাধ্যমে চলতি বছর ৪ হাজার ৩৮০ কোটি রিঙ্গিত (১ হাজার ১০৫ কোটি ডলার) আহরণের পরিকল্পনা করেছিলেন।

এটি দেশের আহরিত মোট রাজস্বের প্রায় ১৮ শতাংশ। নির্বাচনী প্রচারণায় নাজিব সতর্ক করে বলেছিলেন, মাহাথিরের অর্থনৈতিক প্রস্তাবনাগুলোর কারণে দেশে ঋণ বেড়ে ১ ট্রিলিয়ন রিঙ্গিতের বেশি হয়ে যাবে।

এছাড়া নিজের মেয়াদে কেন্দ্রীয় ঋণ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার অভিযোগ নাকচ করে নাজিব বলেন, ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত জিডিপির অনুপাতে দেশের ঋণ ছিল ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ, যা সরকার নির্ধারিত ৫৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।

গত সপ্তাহে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে সাবেক প্রশাসনের দেয়া অনেক তথ্যই মিথ্যা। উল্লেখ্য, ৯ মে মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে মাহাথিরের নেতৃত্বে বিরোধী দল পাকাতান হারাপান বিজয় অর্জন করেন।

উপরে