শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 21 July, 2019 11:16

চার লাখ অবৈধ অভিবাসী নিজ দেশে ফিরতে পারবে

চার লাখ অবৈধ অভিবাসী নিজ দেশে ফিরতে পারবে
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক খাইরুল দজাইমী দাউদ
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া :

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খাইরুল দজাইমী দাউদ বলেছেন, আগামী পহেলা আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া 'ব্যাক ফর গুড' (বিফোরজি) কর্মসূচীর অধীনে চার লাখ অবৈধ অভিবাসী তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবে।

আত্মসমর্পন করে প্রত্যাবর্তনের অনুমতি পাওয়ার জন্য অবৈধদের নির্দিষ্ট কিছু নথি সরবরাহ করতে হবে। ১৯ জুলাই শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দাতুক খাইরুল দজাইমী দাউদ এ কথা বলেন।

পরিচালক বলছেন,"অভিবাসন বুথে আবেদন করার আগে তাদেরকে নিজ নিজ দূতাবাস থেকে একটি সম্পূর্ণ সনাক্তকরণ কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।"
অভিবাসন প্রধান জানিয়েছেন যে, "সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাবর্তনের অনুমতি দেওয়ার আগে তাদের ফ্লাইট টিকেট সহ আবেদনের সমস্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করা হবে।,,

এর আগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত এই কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে অভিবাসন বিভাগকে সহযোগিতা করবে রয়েল মালয়েশিয়া পুলিশ (পিডিআরএম)। বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূরণ বা সংগ্রহের জন্য দূতাবাস ও অভিবাসন কর্যালয়ে যাওয়ার পথে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হবে না।

বিফোরজি প্রকল্পের ব্যাখ্যা করতে যেয়ে তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র পিনিনসুলার মালয়েশিয়ার অবৈধ অভিবাসীরা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে। যারা এরিমধ্যে আটক হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এ সুযোগ কার্যকর হবে না।

অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশকে হ্রাস করার পাশাপাশি দপ্তর পরিচালনার খরচ এবং অপরাধ সংক্রমের ঝুঁকি হ্রাস করা এ কর্মসূচীর অন্যতম একটি লক্ষ্য বলেও জানিয়েছেন অভিবাসন মহা পরিচালক।

আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সুযোগ পাওয়ার পরও যারা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থান নেয়া হবে বলে ও জানান দিলেন ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক।

এ দিকে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ ত্যাগের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মালয়েশিয়াজুড়ে ৮০টি কাউন্টার খোলা হয়েছে। অবৈধ ব্যক্তিদের  সরাসরি ইমিগ্রেশন অফিসে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে। ১৮ জুলাই মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের ইমিগ্রেশন  আইনের ১৯৫৯/৬৩ পাসপোর্ট আইনের ১৫৫ ও ১৫ (১) সি ৬ (১) সি আওতায় অবস্থানকারীরা এই সুযোগ পাবেন।

এক্ষেত্রে আবেদন কারির অরজিনাল পাসপোর্ট, যাদের পাসপোর্ট নেই, দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পাস, মালয় রিংগিত ৭০০ এবং যেকোনো বিমানের কনফার্ম একটি টিকিট।

প্রতারণা থেকে সাবধান হতে এবং যেকোন এজেন্ট বা ভেন্ডরের সঙ্গে টাকা লেনদেন না করার জন্য বলা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ আগষ্টে থ্রি-প্লাস ওয়ান প্রকল্পে  ১ লাখ ৪৮,৭৭৪ অভিবাসী নিজ দেশে ফেরত গেছেন বলে অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

এ দিকে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন একটি নোটিশ  প্রকাশ করেছে। নোটিশে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার সাবা সারোয়াক লাবুয়ান ব্যতীত অন্যান্য সকল প্রদেশে কার্যকর হবে। এ কর্মসূচীর সুবিধা প্রাপ্তির জন্য হাইকমিশন ব্যাপক প্রচারনার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। যাদের যে তথ্য এবং ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা দ্রুত সরবরাহ করার যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যে সকল অবৈধ অভিবাসী সেচ্ছায় দেশে প্রত্যাবর্তনে আগ্রহী  তারা এই কর্মসূচীর সুযোগ গ্রহন করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা।

উপরে