শিরোনাম
সব প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপে তৎপর ভারতীয় আমেরিকানরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের প্রথমবারের মতো ইউক্রেনে রাশিয়ার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতীয় সেনা নিহত সরকারের সমালোচনামূলক গান, ইরানি র‍্যাপারের মৃত্যুদণ্ড ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যাবে যাদের জিমেইল টিকটক নিষিদ্ধ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি অঙ্গরাজ্যে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন হান কাং বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেল ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর গাজায় ১০০ ট্রাক ত্রাণ লুট করে নিল মুখোশ পরিহিতরা নিভে গেল বাতিঘর..... গুগল-অ্যাপলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড অ্যামাজন পড়াশোনা শেষে ব্রিটেনে থাকতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
Update : 8 November, 2019 01:28

প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর বৈঠক

প্রধানমন্ত্রী মাহাথিরের সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর বৈঠক
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া :

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তুন ড. মাহাথির মোহাম্মদের সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

সাক্ষাতকালে বাংলাদেশের মন্ত্রী মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের স্থগিত থাকা শ্রমবাজার দ্রুত খুলে দেয়া এবং সেদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। সাক্ষাতকারের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ৬ নভেম্বর কুয়ালামাপুরে পার্লামেন্টভবনে মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী এম. কুলাসেগারানের নেতৃত্বে সে দেশের প্রতিনিধিদের সংঙ্গে শ্রম অভিবাসন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মিলিত হন। 

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর চেষ্টায় শ্রমবাজারটিতে সফলতার মুখ দেখতে চলেছে বাংলাদেশিরা।

জানা গেছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই দেশটিতে কর্মী পাঠাতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে ২৪ বা ২৫ নভেম্বর ঢাকায় আসছে মালয়েশিয়ার একটি প্রতিনিধি দল। ওই সময় নিরাপদে অভিবাসন নিশ্চিত করতে আরও কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

আলোচনায় শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

উভয় দেশের মন্ত্রী নিরাপদে অভিবাসন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে মানসম্মত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। এ ছাড়াও অবৈধ নিয়োগের অপচেষ্টা রোধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে।

বৈঠকে যেসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে :
উভয় দেশের যৌথ এবং সমন্বিত প্রচেষ্টায় অভিবাসন ব্যয়কে একটি গ্রহণযোগ্য সীমাতে কমানোর উপর জোর প্রদান করা হয়;

উভয় সরকার, মালয়েশিয়ার নিয়োগ সংস্থা এবং বাংলাদেশ নিয়োগ সংস্থার অংশগ্রহণ জড়িত এমন একটি প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন;

বাংলাদেশ নিয়োগ এজেন্সিগুলোর প্রতিযোগিতামূলক বাজার এবং অভিবাসন ব্যয় কম রাখতে উৎসাহিত করবে কিন্তু সক্ষমতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং দক্ষতার মানদন্ড বজায় রাখবে;
সমস্ত ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে সুরক্ষিত, সর্বজনীন এবং একীভূত অনলাইন সিস্টেম চালু করা যা উভয় সরকারের স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে;
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সঞ্চয় প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে মানবসম্পদমন্ত্রীর প্রস্তাবের বিষয়ে মতবিনিময়; 
স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ সরকার উত্থাপিত ব্যয় সম্পর্কিত মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে মানবসম্পদ মন্ত্রীকে আরও তদন্ত করার জন্য আহ্বান করা হয়;

গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনলাইন পদ্ধতি এসপিপিএ বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় তৎকালীন প্রবাসী ও বৈদেশিক কল্যাণমন্ত্রীনুরুল ইসলাম বিএসসি মালয়েশিয়া গিয়ে বৈঠক করলেও (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮) শ্রমবাজার চালু করা সম্ভব হয়নি। এরপর ৩১ অক্টোবর ঢাকায় দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে নতুন করে কর্মী নেয়ার কিছু পদ্ধতি ঠিক হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, যুগ্ম-সচিব ফজলুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বিএমইটির পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম, ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ এবং কাউন্সিলর (শ্রম) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

এর আগে ৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দীন ইয়াসিনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। 

সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী তুন ড. মাহাথির মোহাম্মদ সম্ভব দ্রুততম সময়ে সিন্ডিকেটমুক্ত বাংলাদেশের জন্য শ্রম বাজার উন্মুক্তকরণ বিষয়ে তার আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেন।

উপরে