’বৈদেশিক বিনিয়োগে এশিয়ার সেরা গন্তব্য বাংলাদেশ’
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। বলছিলেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যের চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দর সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তুলে ধরে বৈদেশিক বিনিয়োগে এশিয়ার সেরা গন্তব্য বলে অভিহিত করেন।
এ সময় চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, চাইনিজ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কেদাহ চাইনিজ চেম্বারের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট মি. অং সেইক চিঅং চেম্বারের কার্যাবলী, মালয়েশিয়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের উন্নয়নে এর ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
তিনি কেদাহ রাজ্যের শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ফ্যাক্টরিতে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের দক্ষ ও উৎপাদনশীল বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে বাংলাদেশী শ্রমিকদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, কেদাহ রাজ্যে বিদেশী শ্রমিকদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তিনি হাইকমিশনারকে দ্রুততার সাথে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশী শ্রমিক আনার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারকেও অনুরোধ করবেন বলে জানান।
কেদাহ চাইনিজ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সেক্রেটারী জেনারেল মি. তাই লী পিন বাংলাদেশ থেকে সুগন্ধী চাল ও ভেজিটেবেলস আমদানীতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের জানান, বাংলাদেশের রপ্তানী পন্যসমূহের গুনগতমান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর বিপুল পরিমান তৈরী পোশাক, কৃষিজ পণ্য, খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদি রপ্তানি হয়। তিনি সেক্রেটারী জেনারেলকে যে কোন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় হাইকমিশনারের সাথে পেনাং-এ নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল দাতো শেখ ইসমাইল, দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোঃ রাজিবুল আহসান, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রুহুল আমিন এবং দ্বিতীয় সচিব (শ্রম) ফরিদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া চেম্বারের পক্ষে প্রেসিডেন্ট, ডেপুটি প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারী জেনারেলসহ চেম্বারের নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন সন্ধ্যায় হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী একটি ট্রেড ও কালচারাল শো আয়োজনের জন্য পেনাং-এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন।
তারা অনুষ্ঠান আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে হাইকমিশনারকে আশ্বাস দেন রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।