মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় কারিগরি কমিটির বৈঠক
বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বৈঠকে বসছে কারিগরি কমিটি।
২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসছে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল। ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান দিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, যেসব কারণে বারবার ঝুলে যাচ্ছিল শ্রমবাজারটি এবার অনেকটা একমত হয়েছে উভয় দেশ। তিনি বলেন, এবারের বৈঠকে কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার চাওয়াকে গুরুত্ব দেয়া হবে। এই বৈঠকেই সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের এই সফরে থাকছেন না দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান। তিনি বলেন, এবার অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান হলে, দ্রুতই চুড়ান্ত বৈঠকে ঢাকায় আসবেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী।
কারিগরি বৈঠকে চুড়ান্ত হতে পারে কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় এবং কতোগুলো রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কর্মী নিবে মালয়েশিয়া, এক্ষেত্রে তারা কি চায় সেটিকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রম রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এর পর বাজারটি উম্মুক্ত করতে কয়েক দফা বৈঠক ও চিঠি চালাচালির পরেও বাজারটি উম্মুক্ত হয়নি। গেলে বছরের ৬ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় দু’দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঠিক হয় ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় হবে যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠক। কিন্তু হঠাৎ বাতিল হয়ে যায় বৈঠকটি।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ান রিজার্ভ-এ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে শূন্য ব্যয়ে কর্মী নিয়োগ করতে শিগগিরই চুক্তি করা হবে। এম কুলাসেগারান বলেন, “নেপালের সাথে যেভাবে চুক্তি হয়েছে ঠিক একই চুক্তি বাংলাদেশও চাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “শূন্য ব্যয়ে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা বেশ খানিকটা অগ্রগতি হয়েছে এবং শিগগিরই বিষয়টি চুড়ান্ত হবে।”
মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “কর্মী নিয়োগের সার্ভিস চার্জ, যাওয়া-আসার বিমান ভাড়া, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুরক্ষা স্ক্রিনিং এবং শুল্ক চার্জগুলি দেবে নিয়োগকর্তারা।”
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বাধ্যতামূলক শ্রম নির্মূল করতে এবং আমদানিকারক দেশগুলি থেকে সম্ভাব্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য আরেকটি শূন্য মূল্যের নিয়োগ চুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। প্রায় সমস্ত বিষয় নিষ্পত্তি হয়ে গেছে এবং আমরা এটি চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি এসেছি।
এদিকে, কুলাসেগারন স্থানীয় রাবার গ্লোভ প্রস্তুতকারীদের অবিলম্বে সামাজিক কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট (এসসিএআর) জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কারণ আমদানিকারক দেশগুলি টেকসই নিয়োগের বিষয়ে মালয়েশিয়ার রেজুলেশন খুঁজতে থাকে।