বিমান বন্দরে কঠোর নিরাপত্তা, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ই-গেট
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কাঁপছে সারা বিশ্ব। একে একে প্রতিটি দেশে প্রবেশ করছে এই মরণব্যাধি ভাইরাস। করোনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সকল দেশ নিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ।
এ দিকে মালয়েশিয়ায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এর আগে চীনের উহান ও হুবেই প্রদেশের বাসিন্দাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। দেশের সকল চেক পয়েন্ট ও বিমানবন্দর গুলোতেও গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ এর মহাপরিচালক দাতুক খাইরুল জাইমি দাউদ ও ইমিগ্রেশনের সুরক্ষা ও পাসপোর্ট বিভাগের প্রধান দাতুক মোহাম্মদ জুলফিকার আহমদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে মালয়েশিয়ার সকল ইমিগ্রেশনের পরিচালকদের জানানো হয়েছে, মালয়েশিয়ার সকল অটোগেইট লেন, ন্যাশনাল এনফোর্সমেন্ট এন্ড রেজিষ্ট্রেশন বায়োমেট্রিক সিস্টেমের (এনআরএস) এবং ই-গেইট অটোমেটেড ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম বন্ধ করার বিষয়ে একমত পোষণ করার কথা বলা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এই সকল ই গেইট ও অটোমেটিক গেইট আগামী নির্দেশনা দেয়ার আগ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
দাতুক খায়রুল দাজাইমি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলার জন্য একটি অতিরিক্ত ব্যবস্থা হিসাবে আমরা সকল অটোমেটিক এবং ই-গেটগুলি অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছি।
এই পদক্ষেপের ফলে পর্যটকদের প্রবেশে প্রভাবিত হবে না। করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় কঠোর নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে এটি বন্ধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ দিকে মালয়েশিয়ায় নতুন করে আরও ৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এখন পর্যন্ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ জনে। ৫ মার্চ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক নূর হিশাম আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছেন, মালয়েশিয়ায় মোট ৫৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে যেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ জন।
৩ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক নূর হিশাম আব্দুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। কোভিড-১৯ ঠেকাতে অরোও শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে মাশয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।