মালয়েশিয়ায় করোনায় ১০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩০৬
মালয়েশিয়ায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০ হাজার সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার থেকে নতুন করে সরকারের দেয়া বিভিন্ন বিধিনিষেধ পালনে ২০ হাজার সেনাবাহিনীসহ ৩ হাজার রেলা মাঠে নেমেছে।
বর্তমান কঠিন সময়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ, মানুষের চলাচল পাবলিক ট্রান্সপোর্ট শহর গ্রাম বন্দর সব এলাকায় মানুষের চলাচলের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশ একযোগে কাজ করছে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও কাজ করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মো. ইব্রাহিম সাবরি। তিনি বলেন, আমার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এসময় তিনি আরো বলেন, ইরানে অবস্থান করা ৭৯ জন মালয়েশিয়ার নাগরিক রোববার দেশে ফিরে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এদিকে মালয়েশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একসঙ্গে একাধিক ব্যাক্তি ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। এক পরিবারের একজন সদস্য সবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাইরে যেতে পারবে। আইন লঙ্গন করলে জেল জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আইন লঙ্গন করায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গায় সেনাবাহিনী খাবার বিতরণ করেছে।
মালয়েশিয়ার সেভেনে এলিভেন দোকান ২৪ ঘন্টার বদলে সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ সকাল ৭ থেকে রাত ১১ পর্যন্ত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এছাড়া মালয়েশিয়া সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবাসীদের সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাস চালু করেছে হটলাইন। এদিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মিদের পাশাপাশি সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্টানে লেখাপড়া করছেন তারাও লকডাউনে অবস্থান করছেন। দেশটিতে বিরাজ করছে স্থবিরতা। কেউই ঘর থেকে প্রয়োজন ছাড়া বের হতে পারছেননা।
রোববার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এক হাজার ৩০৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৩৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার একটি মসজিদে তাবলীগ জামাত থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।