মালয়েশিয়ায় দুটি ভবন লকডাউন
মালয়েশিয়ার মসজিদ ইন্ডিয়া এলাকার দুটি ভবন লকডাউন করা হয়েছে। কুয়ালালামপুর সিটি হল(ডিবি কেএল) এর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, সেনাবাহিনী, পিডি আরএম, পুলিশ ও রেলা দুটি ভবনের চারপাশ ঘিরে রেখেছে।
মঙ্গলবার মসজিদ ইন্ডিয়ার দুটি বিল্ডিং সেলাঙ্গর ম্যানশন ও মালায়ান ম্যানশনে ১৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অতিরিক্ত নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে লকডাউন করে বাসিন্দাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২ মার্চ একই এলাকার মুন্সী আবদুল্লাহ রোডের সিটি ওয়ান প্লাজা কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে লকডাউন করা হয়েছে।
কুয়ালালামপুরের ফেডারেল টেরিটরির মন্ত্রী তান শ্রী আনুয়ার মুসা বলেছেন, জালান মসজিদ ইন্ডিয়াতে অবস্থিত এ দুটি ভবনে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের অভিবাসী কর্মীরা বসবাস করেন। আমরা অতি শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশনে যোগাযোগ করে তাদের নাগরিকদের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ভবন দুটি পুরোপুরি লকডাউন করেছি, যাতে কেউ বের না হতে পারে, সবাইকে আপাতত ঘরের মধ্যেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া স্থানীয়দের জানানোর পাশাপাশি বাংলা, উর্দু, ও হিন্দি বলতে পারে এমন লোকদের মাধ্যমে ভবনে অবস্থানকারীদের কাছে বার্তা পৌছে দেয়া হবে। যাতে করে সবাই শান্ত থাকে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফ্রন্টলাইনে থাকা কর্মীদের কাজে সহযোগিতা করে। আমরা তাদের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন অবশ্যই ধৈর্য্য ধারন করে।
ভবনটিতে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশী কেউ আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা হয়নি এবং এই তিনটি দেশের কতজন কর্মী সেখানে আটকা পড়েছেন তাও জানা যায়নি।
আনোয়ার মূসা সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ধরনের পদক্ষেপে ভবনে বসবাসকারীদের ভয় বা শঙ্কিত হওয়ার কারন নেই। আক্রান্ত ভবনটিতে থাকা সবাই যেন অন্য এলাকায় চলে যেতে না পারে। কারণ আক্রান্ত লোকজন অন্য এলাকায় চলে গেলে আরও বেশি লোকজন সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে এবং ভাইরাস আরও বিস্তৃত ভাবে ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত শ্রী পেটালিং, মসজিদ ইন্ডিয়া এবং সেলায়াং হোলসেল মার্কেট ব্যতীত ফেডারেল টেরিটরি কুয়ালালামপুরে নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় নতুন করে ১৭০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে আরও একজন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৬৩ এবং এখন পর্যন্ত ৬৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩২১ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অপরদিকে ৯২ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।