মালয়েশিয়ায় ১৪ হাজার গ্রেপ্তার, নিয়ন্ত্রণ আদেশ অমান্য করলে জেল
মালয়েশিয়ায় নিয়ন্ত্রল আদেশ লঙ্ঘন করায় ১৪ হাজার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুকিত আমান সিআইডি পরিচালক দাতুক হুজির মোহাম্মদ বলেছেন, এমসিও লঙ্ঘনের দায়ে ১৮ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে ১৪,৯২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বুধবার (১৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্বে পুলিশ কোনও আপস করবে না।
"প্রথম ধাপে, মোট ৩,৬২২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তবে এই সংখ্যা দ্বিতীয় পর্যায়ে ,৭৬৬৮ জন থেকে ১১,২৯৯ জনে বেড়েছে। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও অনেকে তা মানছেন না," বুধবার (১৫ এপ্রিল) তিনি বুকিত আমানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
হুজির বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া মোট সংখ্যার মধ্যে ৫৮৩০ জনকে আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, তিন ধাপের অধীনে এমসিসির সমস্ত লঙ্ঘনকারীকে এখন থেকে আদালতে অভিযুক্ত করা হবে। "এমসিও লঙ্ঘন করা কোনও ছোট অপরাধ নয়। প্রত্যেকে যদি এটি মেনে না চলেন তবে এটি দেশের জন্য একটি বড় বিপর্যয় হয়ে উঠবে।
এ দিকে ১৫ এপ্রিল বুধবার থেকে কন্ট্রোল ওয়ার্ডার অমান্যকারীদের রিমান্ডে নেওয়ার পর সোজা আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী ইসমাইল বলেন, নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অনেকে লকডাউন অমান্য করছেন দেখে এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি, লোকজন এমন আচরণ করছে যেন তারাআইনের তোয়াক্কাই কিংবা ভয় করছে না। তাদের ভয় পাওয়ার জন্য ১ হাজার রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ান) খুব বেশি মনে হচ্ছে না। তারা প্রতিনিয়ত চলাচলের নির্দেশনা (এমসিও) লঙ্ঘন করছেন।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘ এরকম পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পুলিশ বুধবার থেকে আর সতর্ক করবে না। যারা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, ‘এরপর আদলাত তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ, ৩৪২ নম্বর আইনের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আদালত তাদের দুই বছরের কারাদন্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য পাঁচ বছরের কারাদন্ড দিতে পারবে।’
মালয়েশিয়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া লকডাউন ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বন্ধ না হওয়ায় এর সময়সীমা আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করেছে দেশটির সরকার।