মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের খাদ্য সহায়তা দিল হাইকমিশন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে হাইকমিশন। ১৫ এপ্রিল বুধবার রাজধানি কুয়ালালামপুরে মেনারা সিটি ওয়ানে কোয়ারেন্টিনে থাকা ৩৯৯ বাংলাদেশিকে খাদ্য সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। গত ৩১ মার্চ মেনারা সিটি ওয়ানে করোনা শনাক্তেরপর পুরো ভবনটি লকডাউন করা হয়।
হাই কমিশনের শ্রম শাখার ২য় সচিব ফরিদ আহমেদ স্থানিয় সাংবাদিকদের জানান, চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোলে বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “প্রথম থেকেই আমরা হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলামের নির্দেশে মালয়েশিয়া সরকারের সাথে আমাদের (বাংলাদেশিদের) সহায়তা করার বিষয়ে যোগাযোগ করেছি।
বুধবার ডাং ওয়াঙ্গি পুলিশ সদর দফতরে খাদ্য সামগ্রী হস্তান্তরের সময় ফরিদ বলেন, “ বাংলাদেশিদের সহায়তার জন্য আমরা মালয়েশিয়া সরকারের সাথে চারটি বৈঠকে অংশ নিয়েছি।
ফরিদ বলেন, "আমরা খুব খুশি যে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকার সহায়তার জন্য একত্রে কাজ করছে। ফরিদ আরও জানান, এখন বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হ'ল বাংলাদেশের বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোধে মনোনিবেশ করা। “তাদের কাজের অনুমতি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই, তারা সকলেই আইনী অভিবাসী।"
মেনারা সিটি ওয়ান হলো প্রথম আবাসিক ভবন যা লক ডাউন করে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে । এই ভবনে ৫০২ আবাসিক ইউনিট এবং টাওয়ারের ব্যবসায়িক মিলে বিভিন্ন দেশের ৩,২০০ বাসিন্দা রয়েছেন।
এ দিকে শুধু মেনারা সিটি ওয়ান নয় আরোও দুটি ভবন সেলাঙ্গর ম্যানশন ও মালায়া ম্যানশনে কোয়ারেন্টিনে থাকা বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে খাদ্য সরবরাহ করা হবে বলে জানান হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া মুভমেন্ট কন্ট্রোলে থাকা সকল বাংলাদেশি কর্মীদের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, " মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মহাদুর্যগে প্রবাসীদের এবং দেশে তাদের জন্য সহায়তা দিচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সমগ্র বিশ্ব যুদ্ধ করছে, এর সংক্রমণ প্রতিরোধে মালয়েশিয়া সরকার মুভমেন্ট কন্ট্রোল ওয়ার্ডার জারি করেছে। এ সময় কাজ বন্ধ ফলে প্রবাসীদের কল্যাণ এ হাইকমিশন কাজ করছে , খাদ্য সহায়তাসহ , বেতন, চিকিৎসা , ভিসা ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে বিত্তবানরা প্রবাসীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন , করোনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশিদের কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা - কর্মচারি দিন রাত হটলাইনের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশিদের সহায়তা দিচ্ছেন।
হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের দেয়া চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার ধর্য্যের সাথে মেনে চলে করোনার এ মহাদূর্যোগ মোকাবেলা করতে প্রবাসীদের অনুরোধ করেছেন।